জসিন্তা কেরকেট্টা কুরুখর জাতির মেয়ে, কুরুক তাঁর মাতৃভাষা। যে মেয়েকে আমরা ওরাওঁ বলি।
এরপরে অবশ্য তিনি বলেন, ‘আমি নিজের ভাষাতেই লিখতে ভালোবাসি, এই ভাষায় মেয়েদের পক্ষে অবমাননাকর কোনো শব্দই নেই। হিন্দি ‘রণ্ডি’ শব্দটিকেও আমার ভাষা অনেকটা সহানুভূতি দিয়ে দেখে। আমার ভাষায় এই শব্দের অর্থ বিধবা। হ্যাঁ, এরপরেও কিন্তু আমি হিন্দিতেই লিখতে চাই। ’
সারান্ডার জঙ্গলের কাছে কোয়েল নদীর ধারে পশ্চিম সিংভূম জেলার খুরপোশ গ্রামে জসিন্তার জন্ম। তাঁর বাবা, জয় প্রকাশ কেরকেট্টা অল্প বয়সে ম্যারাথন অ্যাথলেট ছিলেন, সেই সূত্রে পুলিশ ডিপার্টমেন্টে চাকরি পান। তাঁর চাকরিসূত্রে জসিন্তার শৈশব সাঁওতাল পরগনায় কেটে যায়। সেই সময়ে পশ্চিম চম্পারন জেলার বেতিয়ায় তাঁর পড়াশোনা। ১৯৯৯ সালে চাইবাসার কাছে চক্রধরপুরে এসে পড়েন তাঁরা। সেখানে ক্লাস এইট থেকে টেন পর্যন্ত কাটে। সাঁওতাল পরগনাতে এসে জসিন্তা প্রথম আদিবাসীদের ওপর অন্য সম্প্রদায়ের মানুষের, শিক্ষক বা সহপাঠী যেই হোক, এক ধরনের অবমাননার দৃষ্টি লক্ষ্য করেন। মনের রাগ পুষে রাখতে থাকেন সেই সময় থেকে। এরপর যখন চক্রধরপুরের কারমেল হাই স্কুলের হোস্টেলে থাকতে শুরু করেন, তখন সেখানে অনেক আদিবাসী মেয়েদের সহপাঠী হিসেবে পান। কিন্তু তারাও যেন জসিন্তার আচরণে খুশি নয়। যেহেতু জসিন্তা শুধু পড়াশুনোতেই মন দিয়েছিলেন, তাঁর লক্ষ্য ছিল, অন্যদের দেখিয়ে দেওয়া যে, একটি আদিবাসী মেয়েও বুদ্ধি, মেধায় কিছু কম নয়। তাঁর এই জেদ একসময়ে স্কুলের পরীক্ষায় তাঁকে প্রথম বা দ্বিতীয় স্থান নিতে সাহায্য করে। এতে অন্য আদিবাসী মেয়েরা তাঁকে একপেশে করে দেয়। উপরন্তু স্কুলের শিক্ষক বা ছাত্রীরাও একজন আদিবাসীর এহেন মেধায় ক্ষুব্ধ হয়ে থাকে। একা এবং একার জগত তাঁকে ভাবনার জগতে নিয়ে যায়। সঙ্গে জমে থাকা রাগ, ক্ষোভ, বঞ্চনার ইতিহাস সাথী হয়। ক্লাস এইটেই তিনি প্রথম কবিতা লেখেন মাকে নিয়ে, শৈশব নিয়ে।
আর এই সময়েই জমি সংক্রান্ত এক বিবাদে তাঁর কাকা এবং তাঁর ঠাকুমাকে মোহনপুরের উঁচু সম্প্রদায়ের ১০/২০ জন লোক এসে অত্যাচার চালায়। কাকাকে খুন করে আর ঠাকুমাকে জেলে পাঠায়। সেই সময়ে স্থানীয় কাগজের রিপোর্ট অনুযায়ী বলা হয়, কাকাকে নাকি আদিবাসী প্রথা অনুযায়ী বলি দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে তাদের পুরো গ্রামকে বছরের পর বছর সন্দেহের চোখে দেখত অন্যরা। যদিও কার্যক্ষেত্রে একটি ধর্ষণের ঘটনা থেকে মুখ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য মিডিয়া এই ঘটনা সাজিয়েছিল।
এরপরে জসিন্তা তাঁর মায়ের সাহায্যে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে মাস কমিউনিকেশন নিয়ে ভর্তি হন। দৈনিক জাগরণ আর প্রভাত খবর নামের দুটি হিন্দি পত্রিকায় সাংবাদিকতা শুরু করেন।
জসিন্তার তখন ১৩ বছর বয়স, মোহনপুরের মিশনারি বোর্ডিং স্কুলে পড়তে যাচ্ছেন, সেই সময়ে একদিন বাড়িতে এসে মা পুষ্পা অনিমা কেরকেট্টাকে তাঁর মদ্যপ বাবার হাতে মার খেতে দেখেন। এর আগেও দেখেছেন, কোথাও গেলে বাবার পেছন পেছন মাকে চলতে। বাবার খাওয়া না হলে, মার খেতে বসার অধিকার পর্যন্ত ছিল না। যে বাবা আবার নিজেই পুলিশ ডিপার্টমেন্টে আদিবাসী বলে হেনস্থা ভোগ করতেন। যে ভাইরা শিক্ষিত হয়ে উঠছিল, তারাও জসিন্তার পড়াশোনার জন্য বাইরে যাওয়া বা সাংবাদিকতা করাকে মেনে নিতে পারেনি। এই সমস্ত ক্ষোভ ৩২ বছর বয়সে এসে তিনি উগড়ে দেন ‘বাওন্দার অউর দিশায়েঁ’ কবিতায়।
‘উন্নতি’র ধারায় যেন তারা এগিয়ে এসেছে এতোটাই যে, কাউকে না কাউকে ত্যাগ করতেই হবে’-- এই কবিতার বক্তব্য ছিল এমনই। ৪১টি হিন্দি কবিতা নিয়ে তাঁর বই প্রকাশ করে আদিবাণী ও সহযোগী জার্মান প্রকাশক। কবিতাগুলির মূল বিষয় ছিল আদিবাসীদের সংগ্রাম ও আশা নিয়ে, নিজের ছোট গণ্ডি থেকে যখন তারা বড় শহরে পা দেয়, তাদের আশা, আকাঙ্ক্ষা, হতাশা, বঞ্চনা—এই ছিল কবিতাগুলিতে।
বেশ কিছু কবিতা সারান্ডার জঙ্গল নিয়ে লিখেছেন তিনি। তাঁর গ্রাম খুরপোশের কয়লা খনি এলাকা নিয়েও লিখেছেন। মেয়েদের ওপর হিংসা নিয়ে, বাস্তুচ্যুত হওয়ার যন্ত্রণা নিয়ে, সরকারের বঞ্চনা নিয়ে তাঁর কলম সরব হয়েছে। ‘লাল নদীয়াঁ’ কবিতায় তিনি দেখিয়েছেন কীভাবে সারান্ডার জঙ্গল, জমি, খনি থেকে আসা ধুলোয় বিষাক্ত, বন্ধ্যা হয়ে উঠেছে। সিমডেগায় এক গ্রামে যেখানে কাছাকাছি এলাকায় চারটি বাঁধ রয়েছে অথচ কৃষকরা জমি হারিয়ে রিকশা চালায়। যারা জমি ছেড়ে চলে যায়নি, তাদেরও সেচের জল নিতে দেওয়া হয় না। সাহেবগঞ্জে চাষিরা চাষ করতে পারে না, শুধু ফ্লাই অ্যাশ উড়ে এসে তাদের জমি ভরিয়ে দেয় বলে। ‘আদিবাসীরা কি গরু-ছাগল যে সরকার এদের সঙ্গে এমন ব্যবহার করবে?’-এই প্রশ্ন তোলেন জসিন্তা।
জসিন্তা বোঝেন আজকের এই ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশনের কুফল ভোগ করতে হচ্ছে তাদেরই। বন্দুকের নল পয়সা জোগাচ্ছে সহজেই, তাই কিছু আদিবাসীও সহজে মাওবাদী হয়ে উঠেছে। আর যারা সেরকম কোন উগ্র মতবাদী হয়নি, তাদেরও বিনা কারণে, স্রেফ সন্দেহের বশে জেলে যেতে হচ্ছিল। তাঁর কবিতা ‘হল কি হত্যা অউর ডম্বরু কি আওয়াজ’-এ সিধু কানু ডহরের নাম করে একটি গাছের কণ্ঠে বলেছেন- সেই গাছ সাক্ষী থেকেছে এই উত্থানের। এখানে মূল হিন্দি থেকে পাঁচটি কবিতার বাংলারূপ তুলে ধরা হলো:১)
মেয়েদের ঘর
(औरत का घर)
খুব ভোরে উঠে চম্পা
কাঠের উনোন থেকে
উঠে আসা ধোঁয়ায়
ধুয়ে নিতে থাকে তার মুখ
আর ওর মর্দ ঘুমোতেই থাকে
ভোরে ঘুম থেকে উঠে চলে যায়
খেতের আলে বাঁধা জালে
আটকে পড়া মাছ গুণতে থাকে
আর সন্ধে পর্যন্ত ওখানেই কোথাও
আটকে থাকে হাড়িয়ার দোনায়
ফিরে ঘর ভাসিয়ে দেয়
গাল পাড়ে চম্পাকে
বউ পেটানো স্বামীর সাথে
রাতে শুতে চায় না চম্পা
এবার পুরো গ্রামে ঢাক পিটিয়ে আসে ও সকাল হলে
দ্যাখো, আমার বউ আমার সঙ্গে শোয় না
ও সারাদিন গ্রাম জুড়ে ফিসফিস শুনতে থাকে
নিশ্চই অন্য কোন মর্দের সঙ্গে ভাব আছে
চম্পা, কার জন্য সহ্য করছিস?
আমি যখনই ওকে জিজ্ঞেস করি
ও বলে
যাব কোথায় এতগুলো বাচ্চাকে ছেড়ে?
স্টেশন, ফুটপাথ নাকি
কোন গাছের ছায়ায়
কোন আশ্রম, এমন কোন আশ্রম
পাওয়া যেত হয়ত
কিন্তু ঘর পাওয়া যেত না
হাড়মাস কালি করেও
এই জন্মে এক প্রকৃত ঘর
বানাতে পারব না।
বল, কোথায় থাকে
এক নারীর ঘর?
২)
গ্রামে গুলি কে চালায়?
(गांव पर गोली कौन चलाता है)
গ্রাম রোজ রাতে বিছানায় যায়
কিন্তু ওর ঘুমের কাছে
এখন কোন স্বপ্ন আসে না
সব স্বপ্ন বন্দক দিয়ে গত রাতে
জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে ওকে
যেখানে স্বপ্ন উগড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা এলেই
কুকুরের প্রস্রাবের ধারার মতো ক্যাম্পগুলি গজিয়ে উঠছে।
দিন আর রাত অদ্ভুত সংশয়ে কাটছে
গ্রামের আদিবাসী ছেলেরা
কখনও স্বপ্ন দেখত নিজের মাটির টানে
অর্ধেক রাতে ঘুম থেকে উঠে পড়ে
এখন স্বপ্নে ওরা দেখে হত্যাকারী বন্দুক
এখন ওদের ঘুম
অনেক খুনোখুনিতে ভরে থাকে
মাঝরাতে জেগে উঠে
ওরা নিজের মুখ পোঁছে
থেকে থেকেই ওদের মনে হয়
কোন বন্দুকের কুঁদো ওদের মুখের ভেতরে ঠোঁসা আছে
আর রক্তে মাখামাখি ওদের সব দাঁতগুলো
হাতের পাতায় এসে পড়ল
মাঝরাতে উঠে ওরা
নিজের পা ছুঁয়ে দেখে নেয়
কোন গুলি এসে লাগেনি তো?
আর এমন ওদের বারবার মনে হয়
সেদিন আঘাত লেগে পড়ে যাওয়া
আধমরা বিরসাকে পালাতে গিয়ে
অসফল হতে দেখে
ওই লোকটা প্রথমে চারদিকে ভালো করে দ্যাখে
কাউকে না দেখতে পেয়ে চুপচাপ
তিনটে গুলি চালিয়ে দেয় বিরসার বুকে।
দ্বিতীয় বিরসা যার পায়ে গুলি লেগেছিল
ঝোপের ভেতর শ্বাস বন্ধ করে চুপ করে পড়ে থাকে
আজও ও কাগজের পুরিয়ায়
পা থেকে বের করা গুলি লুকিয়ে রেখেছে
ঘুরেফিরে বদভ্যাসে সবাইকে দেখায়
দ্যাখো, এই হল সেই প্রমাণ যা বলে দেয়
যে, কোন গ্রামে
প্রথমে কে গুলি চালিয়েছিল। ।
৩)
পাহাড় ও সরকার
(पहाड़ और सरकार)
আমরা জানতাম না
কোন সরকার কেমন হয়
জন্ম নিয়ে দেশ সামলাতে গিয়েও
আমরা দেখেছি স্রেফ জঙ্গল আর পাহাড়
আমাদের বল সাহেব
কেমন এই সরকার?
জঙ্গল-পাহাড় আমাদের
শুদ্ধ জল, শুদ্ধ হাওয়া
পুষ্টিকর খাবার দেয়
নারীদেরও এই ভয়হীন জঙ্গলে
ঘুরে বেড়াবার স্বাধীনতা দেয়
পুরুষদেরও স্ত্রীদের মতো
কিছুটা লজ্জা পেতে শেখায়
গ্রামের ভেতর ভয় শব্দটিও
প্রবেশ করার আগে ভয় পেয়ে যায়
আর এখানে পুরুষ জানে না
পুরুষকে ভয় পাওয়া কাকে বলে
পাহাড় আমাদের শেখায়
ভালোবাসায় ডুবে বাঁচতে
আর প্রয়োজন হলে
এই ভালোবাসার জন্য মরে যেতে
তোমাদের সময়, তোমাদের সমাজ, তোমাদের সংস্কার কি
এই রকম কিছু আমাদের শিখিয়ে দিতে পারে?
আমাদের জন্য তোমাদের সরকার
পাহাড়-জঙ্গল বাঁচিয়ে রাখতে পারে?
এক দিন আমরা ভাবলাম
ঠিক আছে, আর কিছু না হোক এই সরকার থেকে
এক হাসপাতাল চেয়ে দেখা যাক
আমরা জঙ্গলের ভেতরে
এক প্রকৃত হাসপাতাল চাইছি
কিন্তু আমাদের বাচ্চারা হাসপাতালের অপেক্ষায় মরতে থাকলো
আমরা বললাম তাহলে এক স্কুলই দিয়ে দাও
কিন্তু এই ভাষাতেই শিক্ষা দিও যেন
বাচ্চারা পড়ার পরে পাহাড় না ছেড়ে যায়
এইসব শুনে ওদের
বেঁচে থাকা স্কুলগুলো পর্যন্ত মরে যেতে থাকলো
এরপর একদিন সরকার
রাস্তা তৈরির প্রস্তাব নিয়ে এলো
আমরা বললাম পাঁচ ফুটের বেশি চওড়া রাস্তা
এই জঙ্গল চায় না
ওরা পঞ্চাশ ফুটের রাস্তা জোর করে দিতে চায়
আমরা শর্ত রাখলাম
তোমাদের সাথে আসা পুলিশ, ব্যাটেলিয়ন, দালালদের দলের
জঙ্গলে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা জারি কর
তারপর চাও তো এখানে
ষাট ফুটের রাস্তাও করতে পার
এই শুনে ওরা কী করল?
মাওবাদী, উন্নয়ন বিরোধী বলে আমাদের
গ্রামের পর গ্রামকে জেলে ভরে দিল
মারধর করল, আঙুল ভেঙে দিল আমাদের
তারপর সাদা কাগজে টিপসই নিল
সারারাত এই পাহাড় আমাদের চিৎকার শুনেছিল
তো সাহেব, এই তোমাদের সরকার!
এই জঙ্গল-পাহাড় আমাদের জন্য
আমাদের প্রতি পুরাকাল থেকে দাঁড়িয়ে আছে
যার জন্য আমাদের এই পূর্বপুরুষরা
শত্রুর সঙ্গে সব কালেই লড়াই করে গেছে
এইজন্য বংশপম্পরায়
আমরা এই পাহাড়ে সঙ্গে এত প্রেম করেছি...। ।
(নিয়মগিরির লড়াকু লোদো সিকোকাদের জন্য সমর্পিত)
৪)
পাহাড় আর হাতিয়ার
(पहाड़ और हथियार)
শহর নিজের আত্মহত্যার অধিকার
নিজের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে
পুলিশ আর গুণ্ডাদের
হাতে সমস্ত হাতিয়ার তুলে দিয়েছে
কিন্তু ওরা কী করেছে?
বাঁচানোর নামে
আধমরাকে হত্যা করেছে বারবার
এই কারণে পাহাড়ের মেয়েরা ফুলের বদলে
নিজের চুলে ছুরি লুকিয়ে রেখেছে
আর পুরুষরা নিজেদের কাঁধে টাঙ্গী টানিয়ে রেখেছে
এই হাতিয়ার শুধু হত্যা করার জন্য নয়
এ নিজের বাঁচানোর জন্মগত অধিকার
এর নাম ভালোবাসা, এর নাম শৃঙ্গার
এখানে জীবন আর দেশের অংশ হল হাতিয়ার
এ দিয়ে রাস্তা বানানো যায়
ঝোপ সাফাই করা যায়
অরন্ডীর বীজ বের করা যায়
চুলে সাজিয়ে রাখা যায়
গয়নার মতো গলায় পরে নেওয়া যায়
আর এই দিয়ে খাবার জন্য শিকার করা হয়
জীবনের রোজকার যুদ্ধে সামিল
এক পরম্পরার মতো এই হাতিয়ার
যে সর্বক্ষণ সচকিত থাকে
প্রয়োজন পড়লে যাতে
পাহাড়ের দিকে আসা ভুল হাওয়ার ওপরেও
নিজের সমস্ত ধার পরখ করতে পারে
পাহাড় নিজের সুরক্ষার জন্য
কোন ঈশ্বরের ভরসায় থাকে না
ও মানুষের দিকে দ্যাখে
নিজের আত্মহত্যার দায়
নিজেই ওদের নিয়ে নিতে বলে
আর লড়াকু মানুষদের জন্য দাঁড়িয়ে থাকে
এজন্য এখানে লোকেরা
নদী, ঝর্ণা, গাছ, পাহাড়ের পুজো করে
ওদের ঈশ্বর ওরাই
যাদের ওরা ছুঁতে পারে, দেখতে পায়
ঈশ্বর যে ওদের আশেপাশে থাকে
যে নদীর মতো ওদের মাঝ দিয়ে বয়ে যায়
(নিয়মগিরি পাহাড় আর মেয়েদের নামে...)
৫)
পাহাড়ের জন্য
(पहाड़ों के लिए)
সামান্য কিছু পয়সার জন্য
যে নিজের ধর্ম বিক্রি করে দেয়
সে কী’করে বুঝবে
পাহাড়ের জন্য কিছু লোক
কেন নিজেদের প্রাণ দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২১ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৯
এইচএ/জেএম