রাজশাহী: রাজশাহীতে আরিফুল আলম জন (৪২) নামে বিএনপির সাবেক এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে দাবি করছে তার পরিবার। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মহানগরের রাজারহাতা এলাকায় নিজ বাড়ির পাশে তিনি গুলিবিদ্ধ হন বলে পরিবারের অভিযোগ।
অভিযোগ উঠেছে, সড়কে প্রাইভেটকার প্রবেশে বাধায় প্রতিবাদ করার এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাজিব তার পায়ে গুলি করেছেন।
খবর পেয়ে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আরিফুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে শঙ্কামুক্ত।
আরিফুল আলম দশ বছর আগে রাজশাহী মহানগর বিএনপির সদস্য ছিলেন। তিনি মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার রাজারহাতা এলাকার আশরাফুল আলমের ছেলে। এছাড়া রাজশাহী মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আসাম সরকারের ছোট ভাই।
আরিফুল আলমের বোনের মেয়ে নাঈমা ইসলাম জানান, গতকাল সোমবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে তার মামার সঙ্গে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজিবের কথা কাটাকাটি হয়। কারণ, তাদের বাড়ি রাজারহাতায় সিটি কলেজের পেছনে। আর কলেজের সামনেই রাজিবের চেম্বার। রাজিব প্রতিদিন সন্ধ্যার পর তার লোকজন নিয়ে চেম্বারের সামনে বসে আড্ডা দেন। আর তাদের মোটরসাইকেলগুলো রাস্তার ওপরে রাখেন। এতে তার মামা রাতে প্রাইভেটকার নিয়ে বাড়িতে ঢুকতে গেলে প্রায়ই সমস্যায় পড়েন।
তিনি জানান, গত রাতে বাড়িতে ঢোকার সময় তাদের রাস্তা থেকে মোটরসাইকেলগুলো সরাতে বলা হয়। এই নিয়ে রাজিবের সঙ্গে তার মামার কথা কাটাকাটি হয়। ওই ঘটনার জের ধরে আজ রাতে বাড়িতে ঢোকার সময় প্রাইভেটকার থেকে নামিয়ে তার মামার বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচে গুলি করেন রাজিব। এ সময় তার লোকজনও ছিল। প্রাইভেটকারে থাকা তার আরেক মামাকে এ সময় মারধর করা হয়। পরে তার বড় মামা গিয়ে গুলিবিদ্ধ মামাকে উদ্ধার করে রিকশায় করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। তার মামাকে ওটিতে নেওয়া হয়েছে এবং তার অবস্থা এখন অনেকটাই স্থিতিশীল।
পুলিশ বলছে, আরিফুল আলম গুলিবিদ্ধ হয়েছেন না ছুরিকাহত হয়েছেন, সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগরের বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ওই এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে দুই পক্ষের মধ্যে রাজনৈতিকভাবে অভ্যন্তরীণ কোন্দল ছিল। আজ আমরা এই ঘটনার কোনো প্রত্যক্ষদর্শী পাইনি। তাই ঘটনাটি ঠিক কীভাবে ঘটেছে এবং কী ঘটেছে সে সম্পর্কে আমরা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি।
তিনি বলেন, আহতের পরিবার গুলিবিদ্ধ হওয়ার দাবি করছে। তবে আমরা মেডিকেল রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত এই বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারব না। মেডিকেল রিপোর্টে ইনজুরির কারণ উল্লেখ থাকবে। তারপরও পরিবার অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে
বাংলাদেশ সময়: ০১০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২২
এসএস/আরএইচ