ঢাকা: ঝটিকা মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের একটি অংশ। তবে ধাওয়া দিয়ে তাদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিজয়নগরের নাইটিঙ্গেল মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
দেখা যায়, বিএনপির ১০-১৫ জন কর্মী বিচ্ছিন্নভাবে নাইটিঙ্গেল মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেডের সামনে জড়ো হন। এসময় তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের হামলা ও একজন নিহতের প্রতিবাদ জানিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে পুলিশ ব্যারিকেড সরিয়ে বের হলে, কর্মীরা সরে যান।
কিছুক্ষণ পর ফের ব্যারিকেডের সামনে এসে স্লোগান দিলে পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। এসময় তিনজনকে আটক করতে দেখা যায়। তাৎক্ষণিকভাবে আটক হওয়া কর্মীদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এদিকে সকাল থেকেই বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ও নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশের ব্যাপক উপস্থিত দেখা গেছে। বিজয়নগরের নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরিচয় দিয়ে হেঁটে চলাচল করতে পারছেন পথচারীরা।
এর আগে বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৩টায় বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশ ও নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় নয়াপল্টন। ওইদিন সকাল থেকেই দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ভিড়। একপর্যায়ে রাস্তার একপাশ বন্ধ হয়ে গেলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে যায়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
সংঘর্ষ চলাকালীন বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। জবাবে পুলিশও টিয়ার শেল ও শটগানের গুলি ছোড়ে। এতে নিহত হন মকবুল নামের একজন। আহত হন বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী।
প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে বিকাল সাড়ে ৪টায় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান শুরু করে পুলিশ। এ সময় কার্যালয়ের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় ১৫টি ককটেল। জব্দ করা হয় ১৬০ বস্তা চাল ও নগদ দুই লাখ টাকা। পরে অভিযান শেষে ককটেলগুলো বিএনপি কার্যালয়ের সামনে নিষ্ক্রিয় করা হয়।
এছাড়া সংঘর্ষের পর থেকে অভিযান পর্যন্ত বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, আবদুল কাদের ভূঁইয়া, অ্যানিসহ কয়েক প্রায় ৩০০ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০১, ডিসেম্বর ০৮, ২০২২
এসসি/এমএইচএস