ঢাকা: ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ ঘিরে রাজধানীবাসীকে আতঙ্কিত না হতে বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) থাকবে গোলাপবাগে।
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) বিকালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
জনগণকে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি স্বাধীনতার মূল্যবোধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা গিলে খেয়েছে। তারা আবার ক্ষমতায় আসলে গোটা বাংলাদেশ গিলে খাবে। তাদের সেই সুযোগ দেওয়া যাবে না। দুর্নীতি ও লুটপাট এবং হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে খেলা হবে। সবাইকে প্রস্তত থাকতে হবে। সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে। কাতারের পাশাপাশি বাংলাদেশেও অপশক্তির বিরুদ্ধে খেলা হবে। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ বিএনপি খেলা হচ্ছে। অপশক্তি বনাম আওয়ামী লীগ খেলা হচ্ছে রাজনীতির মাঠে।
বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকদের উদ্দেশে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি যারা আমাদের দেশে আছেন। বন্ধু দেশের প্রতিনিধিরা কারো পক্ষ নেবেন না। আমাদের ঘরের ভেতরে হস্তক্ষেপ করবেন না। আমরা জানি, কীভাবে গণতন্ত্র রক্ষা করতে হয়। আমি বলিনি, মেঘ চলে যাবে। সমাধান হবে। হয়নি? হয়েছে। বাংলা কলেজ হয়ে অবশেষে গোলাপবাগ। শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে তাদের (বিএনপি)।
এসময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে সেতুমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিক বন্ধুরা সত্যটা তুলে ধরুন। কিছু কিছু মিডিয়া বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য নেমেছে। তারা কারা, তাদের চিনে রাখুন সময় মতো জবাব পাবেন। কোনো কোনো মিডিয়া, রাতে ও সকালে দেখলে মনে হয় না এখানে আর কোনো দল আছে। আপনারা বলেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোন দল আছে? চট্রগ্রাম, কক্সবাজার, যশোরে শেখ হাসিনা প্রমাণ করে দিযেছেন।
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ঢাকাবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আপনাদের জন্য পাহারায় আমরা রয়েছি। ঢাকাবাসীর জন্য আওয়ামী লীগ সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা পাহারা দেবে। ওরা যদি কোন জায়গায় হাত দেয় সেই হাত ভেঙে গুড়িয়ে দিতে হবে। ২০০১ সালের বিএনপি- জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে খুন করেছে। হাত-পা কেটেছে, চোখ উপড়ে ফেলেছে, বাড়িঘরে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে। কিন্তু নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ছিল - কোন গোলযোগ করা যাবে না। আমরা সেদিন কোন প্রতিশোধ নেইনি। সেই মাইরটা কিন্তু পেন্ডিং রয়েছে। সমাবেশের নামে কেউ বেশি বাড়াবাড়ি করলে সেই পেন্ডিং থাকা উত্তম-মাধ্যম কিন্তু শুরু হয়ে যাবে।
ঢাকা মহানগর আ.লীগ দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২২
এসকে/এসএএইচ