ঢাকা: বিএনপির গণসমাবেশস্থল সায়েদাবাদ থেকে গোলাপবাগ-মানিকনগর হয়ে কমলাপুর ও আশপাশের প্রায় এক হাজার দোকান বন্ধ রয়েছে। তবে একই এলাকার খাওয়ার দোকান ও ভ্রাম্যমাণ চা-পানের দোকানে জমজমাট বেচাকেনা চলছে।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে সমাবেশস্থল এলাকা সরেজমিনে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সমাবেশ স্থলের আশপাশের এলাকাতে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। শনিবার স্বাভাবিক কর্মদিবস। কিন্তু সমাবেশের কারণে কয়েকদিন ধরে আলোচনা, সমালোচনা ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় কারণে নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এসব দোকান-মার্কেট বন্ধ রয়েছে।
মানিকদি মোড়ের দোকানদার নাজমুল হক বাংলানিউজকে বলেন, সকালে ভয়ে ভয়ে দোকান চালু করেছিলাম, কিন্তু যেভাবে মানুষ আসা শুরু করলো, মানুষ দোকানের সামনে অবস্থান শুরু করলো মানুষকে ছেড়ে দোকান বন্ধ করে চলে যাচ্ছি।
একই কথা জানলেন সমাবেশস্থল খেলার মাঠের উল্টোদিকের মনোয়ারা হাসপাতালের পাশের দোকানদার। তিনি দোকান বন্ধ করলেও আশপাশে অবস্থান করছেন, যাতে দোকানকে সব সময় দেখে রাখতে পারেন।
তবে সমাবেশকে কেন্দ্র করে হোটেল, রেস্টুরেন্ট, চায়ের দোকান ও ভ্রাম্যমাণ খাওয়ার দোকানে দেদার বিক্রি হচ্ছে। এসব দোকানদার বেশ খুশি।
মোবাইল ফ্লেক্সিলোডের দোকানগুলোতে ভালো বিক্রি হয়েছে। অধিকাংশ দোকানে দুপুরের পর আর ব্যালেন্স পাওয়া যায়নি, শেষ হয়ে গেছে। কোনো কোনো দোকানদার নতুন করে ব্যালেন্স সংগ্রহ করে।
এর বাইরে সকাল থেকেই মানুষের মিছিলের পাশাপাশি খোলা ট্রাক ও ভ্যানে করে পানির বোতল শুকনো খাওয়ার নিয়ে প্রবেশ করে বিএনপি নেতারা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব ট্রাক ভ্যান থেকে পানি ও খাদ্য বিতরণ শুরু করে।
কমলাপুর থেকে শুরু করে সায়েদাবাদ পর্যন্ত ট্রাক-ভ্যান থেকে এ পানি ও শুকনো খাদ্য বিতরণ করা হয়। ##
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘন্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২২
জেডএ/জেএইচ