ঢাকা: বিএনপি সরকারের পদত্যাগ দাবি করাতে এসে নিজেরাই পদত্যাগ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বিএনপি দাবি করেছিল ১০ ডিসেম্বর সরকারের পতন ও পদত্যাগ৷ অথচ দেখা যাচ্ছে তারাই পদত্যাগ করছে।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, শনিবার (১০ ডিসেম্বর) মানুষ শঙ্কার মধ্যে ছিল তারা আবার অগ্নি সন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। কিন্তু আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান এবং সরকারিদল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঠে সরব উপস্থিতির কারণে তারা যেভাবে করতে চেয়েছিল সেভাবে করতে পারেনি। অর্থাৎ সন্ত্রাস, নৈরাজ্য যেভাবে করতে চেয়েছিল সেভাবে করতে পারেনি। এরপর তারা বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর করেছে, সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে এবং মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে। যেদল অগ্নিসন্ত্রস, নৈরাজ্য লালন করে তারা সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি।
তিনি বলেন, ১০ লাখ মানুষের সমাবেশের কথা বলে তারা বড়জোড় ৫০ হাজার মানুষের সমাবেশ করেছে। যে মাঠে তারা সমাবেশ করেছে সে মাঠে গরুর হাট বসে। তারা সে মাঠই পছন্দ করেছে। তাদের আরো অনেক বিকল্প বড় মাঠের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তাদের গরুর বাজারের মাঠই পছন্দ। যে মাঠে তারা সমাবেশ করেছে সেটার আয়তন হলো ৫০ হাজার বর্গফুট। একজন মানুষ দাঁড়াতে তিন বর্গফুট এলাকা লাগে। ফলে সে মাঠে কত মানুষ ধরে সেটা সহজে অনুমেয়। বাইরের রাস্তা মিলিয়ে ৫০ হাজার মানুষের সমাবেশ করেছে। আমাদের থানা সম্মেলনেও এর চেয়ে বেশি মানুষ হয়।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি সরকারের পদত্যাগ দাবি করতে এসে। নিজেরাই পদত্যাগ করছেন। তারা দাবি করেছিল ডিসেম্বরে সরকারের পতন ও পদত্যাগ৷ অথচ দেখা যাচ্ছে তারাই পদত্যাগ করছে। এছাড়া তারা ১০ দফা দাবি দিয়েছে। তারা প্রথমে বলেছিল ১০ তারিখের পর এক দফা দাবি। এখন দেখতে পাচ্ছি ১০ দফা দাবি। অর্থাৎ বিএনপি সন্ত্রাস নৈরাজ্যের পথ ত্যাগ করতে পারেনি। বিএনপি সে পথেই আছে, সে পথ থেকে যত দিন পর্যন্ত তারা বেরিয়ে আসতে না পারবে ততদিন বিএনপির কোনো মঙ্গল হবে না।
বিএনপির ১০ দফা দাবি ও ৭ সংসদ সদস্যের পদত্যাগের বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা বলেছিল সরকারের পদত্যাগ দাবি করবে। ১০ ডিসেম্বর সরকার হটিয়ে দেবে। এখন দেখা যাচ্ছে তারা নিজেরাই হটে যাচ্ছে। এখন বিএনপির ৭ সংসদ সদস্য নিজেরাই পদত্যাগের ঘোষণা দিচ্ছে। এতে প্রমাণিত হয় তারা আসলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। এ পদত্যাগে সংসদ কিংবা সরকারের কোনো ক্ষতি হবে না। বরং ক্ষতি হবে বিএনপির। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ না নিয়ে যে ক্ষতি হয়েছে। এ পদত্যাগও বিএনপির ক্ষতি হবে। তারমতো একজন বাকপটু নেতা সংসদে থাকলে বিএনপির লাভ হতো। তিনি আত্মবিশ্বাস নিয়ে মিথ্যা বলতে পারেন। যেহেতু তিনি বাকপটু নেতা।
তিনি বলেন, ৭ জন সদস্য পদত্যাগ করলে সংসদের কিছু হবে না। নিয়ম অনুযায়ী সেখানে উপ-নির্বাচন হবে। আর তাদের ১০ দফা দাবি গতানুগতিক। এগুলো বহুদিন ধরে বলে আসছে। সেটার সঙ্গে নতুন কিছু যোগ করেছে ফলে এগুলো গতানুগতিক দাবি।
২৪ ডিসেম্বর সারা দেশে বিএনপির গণ মিছিলের ডাক নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২৪ ডিসেম্বর গণমিছিল ডাকা এটি দুরভিসন্ধিমূলক। ওদিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল। সেদিন সারা দেশে সমাবেশ ডাকা আমি মনে করে এটি দুরভিসন্ধিমূলক।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২২
জিসিজি /জেএইচ