ঢাকা: বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেছেন, গত ৭ ডিসেম্বর পুলিশ নজিরবিহীন বর্বরতার পরিচয় দিয়েছে। তারা বিএনপির অফিস এমনভাবে ভাঙচুর-তছনছ ও লুটপাট করেছে যা আমাদের নিন্দার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে অনেক বর্বরতার কথা শুনেছি কিন্তু এ ধরনের বর্বরতা আর দেখিনি।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয় পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন খন্দকার মোশাররফ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, বিএনপি নেতা আজিজুল বারী হেলাল।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, বিজয়ের মাসে এ ধরনের ঘটনা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। আওয়ামী লীগের পেট্রোয়া বাহিনী সরকারের পুলিশ বাহিনীর সহায়তায় ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ পণ্ড করতে চেয়েছিল। কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্রই সমাবেশ বন্ধ করতে পারেনি।
তিনি বলেন, এ সরকারের হাত থেকে দেশকে উদ্ধার করতে হবে। জনগণ রায় দিয়েছে। গণতান্ত্রিকভাবে শান্তিপূর্ণ পন্থায় এ সরকারকে প্রতিহতও করতে হবে।
আব্দুল মঈন খান বলেন, পৃথিবীর কোনো সভ্য দেশে এ ধরনের আচরণ হতে পারে না। বিরোধী দলকে যদি নিশ্চিহ্ন করতে হয় তাহলে সরকারের থাকার কি দরকার। আমরা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চেয়েছি সরকার অবস্থা কতটা নাজুক, কতটা জনবিচ্ছিন্ন। সরকার সেই সুযোগটুকু না দিয়ে নৃশংস তান্ডব চালিয়েছে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ৭ নভেম্বরের তাণ্ডব ২৫শে মার্চের কাল রাতকেও হার মানিয়েছে। এ সরকারের হাত থেকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে, স্বৈরতন্ত্র রুখতে হবে।
তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ প্রতিহত করার জন্য এমন কোনো ষড়যন্ত্র নেই যা আওয়ামী লীগ করে নাই। এ সমাবেশ করতে গিয়ে রক্ত ঝরেছে কিন্তু কোনো রক্তই বৃথা যেতে পারেনা, যুগে যুগে সেটি প্রমাণিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২২
টিএ/জেডএ