ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপি কার্যালয়ে ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস’ চালানো হয়েছে: গণতন্ত্র মঞ্চ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২২
বিএনপি কার্যালয়ে ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস’ চালানো হয়েছে: গণতন্ত্র মঞ্চ

ঢাকা: বিএনপি কার্যালয়ে ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস’ চালানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতারা। সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শন শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন তারা।

 

নেতারা অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাসসহ আটক সব নেতাকর্মীর মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এবং গণ-অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।  

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা যথেষ্ট ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন। তারা শান্তিপূর্ণভাবে গণসমাবেশ শেষ করেছেন। এজন্য তাদের ধন্যবাদ। আজ পুলিশ হলো ডাকাত। তারা যা করেছে, তা নজিরবিহীন। জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভাঙা হলো। এটি কোনো সভ্য দেশে ভাবা যায়? এই ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে সরকারের পতন ঘটাতে হবে।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, বিএনপির অফিসে যারা হামলা ও তছনছ করেছে, তাদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে। দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিএনপির প্রত্যেক নেতাকর্মীর প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করছি। সেই সঙ্গে সরকারের প্রতি আহ্বান আপনার নিজেরাও দুঃখ প্রকাশ করুন। তা না হলে গণজাগরণের মধ্য দিয়েই আপনাদের বিদায় হবে।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, আমরা সংহতি জানাতে এসেছি। এসে যা দেখলাম, ৭১ এর তাণ্ডবের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এই সরকারের পতন ছাড়া দেশের মানুষের মুক্তি আসবে না। খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাসসহ সব বন্দি নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করছি।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যেভাবে হামলা চালিয়ে লন্ডভন্ড করা হয়েছে, তা একেবারেই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। তারা জিয়ার ম্যুরাল ভাঙচুরের চেষ্টা করেছে। আওয়ামী লীগ যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি চালু করছে তা ভয়াবহ। তারা দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। আসলে সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই। তাদের অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।

নুরুল হক নূর বলেন, সংসদে যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী আছেন, তাদেরও পদত্যাগ করার আহ্বান জানাই। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ ঘটাতে হবে, তা না হলে সবার ওপর আঘাত আসবে।

বিএনপির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় নেতা আমিরুজ্জামান খান শিমুল, আ ক ম মোজাম্মেল হক ও মৎস্যজীবী দলের মো. আব্দুর রহিম।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২২
টিএ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।