ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

কোথায় গেল তাদের অহংকার, প্রশ্ন কাদেরের

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২২
কোথায় গেল তাদের অহংকার, প্রশ্ন  কাদেরের ফাইল ছবি

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২০০৭ সালে যিনি মুচলেকা দিয়ে রাজনীতি না করার কথা বলে লন্ডনে পাড়ি জমিয়েছেন, তিনি নাকি ১০ ডিসেম্বর থেকে দেশ চালাবেন। খালেদা জিয়া নাকি দেশ চালাবেন।

কোথায় গেল তাদের অহংকার? বাংলার মানুষ তাদের অহংকার চূর্ণ করে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নাকি রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা তৈরি করবে। যাদের হাতে ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের রক্ত, আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীর রক্তের দাগ লেগে আছে, তারা নাকি রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা তৈরি করবে।  

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দায়মুক্তি দিতে যারা পবিত্র সংবিধান এক কলমের খোঁচায় পরিবর্তন করে পঞ্চম সংশোধনী  এনেছিল, এরা করবে রাষ্ট্র মেরামত? যারা পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, তারা নাকি রাষ্ট্র মেরামত করবে। রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে যিনি লন্ডনে পালিয়েছে, সেই তারেক জিয়া নাকি তাদের নেতা হবে।

বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আল্লাহ যারে রাখে, তাকে সরাবে কে? শেখ হাসিনা আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পান না। শেখ হাসিনা ভাগ্যবতী, বারবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন। স্বাধীনতার পর শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবন‌ই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রাজনৈতিক জীবন।  

তিনি বলেন, বিএনপির মনে আজ বড় জ্বালা। শেখ হাসিনা নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করেছেন, এক দিনে একশ সেতু উদ্বোধন করেছেন, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ হচ্ছে। এসব দেখে বিএনপির মনে জ্বালা ধরেছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, এই যুব মহিলা লীগের একটি ইতিহাস রয়েছে। ২০০২ সালে বিএনপি-জামাত জোট তখন ক্ষমতায়। ধানমন্ডির ৯ নম্বরে আমাদের বঙ্গবন্ধুকন্যা আশার বাতিঘর, মানবতার বাতিঘর জননেত্রী দেশরত্ন যুব মহিলাদের সংগঠিত করতে সেদিন যুব মহিলা লীগের গোড়াপত্তন করেছিলেন। যুব মহিলা লীগ শেখ হাসিনার আবিষ্কার। যুব মহিলা লীগ আমাদের রাজনীতিতে দুঃশাসন, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এক বৈশাখী ঝড়। যুব মহিলা লীগ শেখ হাসিনার বিস্ময়কর আবিষ্কার।

যুব মহিলা লীগের কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, রাজপথে পুলিশের নির্যাতন,হামলা, কারাবরণ যুব মহিলা লীগের ইতিহাস। রাজপথে যুব মহিলা লীগের কর্মী কোহিনূরকে নির্যাতন করা হয়েছিল প্রকাশ্য দিবালোকে। নেত্রী যখন কারাগারে ছিলেন, আমরা যখন কারাগারে ছিলাম, তখন আমাদের মুক্তির জন্য গণস্বাক্ষর অভিযানে নাজমা অপুর নেতৃত্বে অসাধারণ নজির সৃষ্টি হয়েছিল 

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫,২০২২
এসকেবি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।