ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘চুরি না করলে প্রতি মাসে একটি করে পদ্মা সেতু বানানো সম্ভব’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৩
‘চুরি না করলে প্রতি মাসে একটি করে পদ্মা সেতু বানানো সম্ভব’ ড. আসাদুজ্জামান রিপন: ফাইল ফটো

নারায়ণগঞ্জ: বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, ঢাকায় এক ব্যক্তি মেয়র হতে চেয়েছিলেন। তিনি একটি সাইনবোর্ড লাগালেন আর নিচে লেখলেন আমাকে জানতে ক্লিক করুন তারপর ওয়েবসাইট দেওয়া।

মানুষ বলে আপনাকে জানতে ক্লিক করবো কী, আমরা এমনি জানি আপনি ভূমিদস্যু। তারা ডিজিটাল বাংলাদেশ বলে দেশকে ভয়াবহ অবস্থায় নিয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ কী হবে আমরা বুঝি। স্মার্ট বাংলাদেশ হবে চুরি ডাকাতির বাংলাদেশ। প্রতি মাসে ২৮ হাজার কোটি টাকা চলে যায়। বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি ২৮ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়। সরকার চুরি না করলে বাংলাদেশ প্রতি মাসে একটি করে পদ্মা সেতু বানানো সম্ভব শুধুমাত্র বিদ্যুৎ খাতের টাকা দিয়ে।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের মিশনপাড়ায় হোসিয়ারি সমিতি মিলনায়তনে ‘বিএনপির রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

সভায় প্রধান অতিথি আসার পর পরই সভাস্থল ফাঁকা হয়ে যায়। সামনে দলীয় নেতাকর্মীদের বসার চেয়ারগুলো দেখা যায় ফাঁকা অবস্থায় পড়ে থাকতে।

তিনি বলেন, ইন্ডিয়ার কোলকাতায় এখন গাড়ি ট্রাফিক পুলিশরা হাত দিয়ে থামায় না। আর আমরা নাকি ডিজিটাল হয়ে গেছি। যে দেশে হাত দিয়ে মাঝে মধ্যে সার্জেন্টদের দৌড়ে সামনে এসে গাড়ি থামাতে হয়। যারা ডিজিটাল দেশই কায়েম করতে পারল না তারা নাকি স্মার্ট বাংলাদেশ কায়েম করবে। পৃথিবীতে তিনটি দেশে ইন্টারনেট নেই বা ইন্টারনেট খুব দুর্বল। বাংলাদেশ সেই তৃতীয় দেশ। আমাদের নাকি ফাইভ জি হচ্ছে।  

গত নভেম্বরে দু সপ্তাহে তিনটি ব্যাংক থেকে সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেল। এনআইডি কার্ড সিমও কেনা যায় না তারা কোটি কোটি টাকা নিয়ে গেল। সরকার খোঁজ নেয় না। হাইকোর্টকে বলতে হলো অনতিবিলম্বে খুঁজে বের করো এ টাকা কে নিল। এমন সরকার ক্ষমতায় থাকলে এদেশ ভয়াবহ অবস্থায় দাঁড়াবে। দেশে গুম খুন হচ্ছে, চাঁদাবাজি হচ্ছে। এ অসহনীয় অবস্থা, পুরো দেশ চাঁদাবাজদের দখলে চলে গেছে।

তিনি আরও বলেন, আইনমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কোর্টের রায় তিনি পড়েননি। সেই কপি হয়ত প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছায়নি। আওয়ামী লীগ নেতারা হয়ত তা পড়েনি। প্রতিদিন তারা বলে এতিমের টাকা চুরি করেছে। কোর্ট কি কোথাও বলেছে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বলেনি, তারা বলেছে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনাকে আরও সচেষ্ট হওয়া উচিত ছিল। তারা তো একটা টাকাও তসরুফ করেনি। দুই কোটি টাকা ৮ কোটি টাকা হয়ে গেছে। এটা উন্নত দেশ হলে যারা খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এসব কথা বলে তাদের ১০ হাজার বছর জেল হতো।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৩
এমআরপি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।