ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি প্রত্যাহার না করলে বিল বন্ধ: বুলু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৩
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি প্রত্যাহার না করলে বিল বন্ধ: বুলু

ঢাকা: বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে বিল বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।

তিনি বলেছেন, আগেও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করে এই সরকার লুণ্ঠন করেছে।

এখন আবার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করেছে। এই দাম বৃদ্ধি প্রত্যাহার করতে হবে। নইলে জনগণকে নিয়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে বিদ্যুতের বিল দেওয়া বন্ধ করে দেব।

শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।  

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের ‘সম্পদ বাজেয়াপ্ত’ করার ফরমায়েশি রায় বাতিলের দাবিতে এই প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি আয়োজন করে গণতন্ত্র ফোরাম।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বরকত উল্লাহ বুলু।  

তিনি বলেন, তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বাবা নৌবাহিনীর প্রধান ছিলেন। তাদের হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি আছে ব্রিটিশ আমল থেকে। তাদের দুর্নীতি করার প্রয়োজন নেই। তারেক রহমান এদেশে কোনো দুর্নীতি করেনি। একটি দুর্নীতির মামলা তার নামে হয়েছিল। সেই মামলায় বিচারক তাকে বেকসুর খালাস দেওয়ার পর সেই বিচারককে বাংলাদেশ থেকে ভেগে যেতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আজ তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও খালেদা জিয়ার নামে যে মামলাগুলো আছে, এগুলো সবই প্রতিহিংসার মামলা। বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে যে দুই কোটি টাকার মামলা, সেই টাকা আজকে ব্যাংকে ১০ কোটি টাকায় রূপান্তরিত হয়েছে।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আমরা দেখেছি, পৃথিবীর সব জায়গায় নিম্ন আদালতে যদি কারও পাঁচ বছর সাজা হয়, উচ্চ আদালতে সেটি কমে গিয়ে খালাস পায়। কিন্তু খালেদা জিয়ার ব্যাপারে দেখলাম, নিম্ন আদালত পাঁচ বছর সাজা দিয়েছেন। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার পর সেটি ১০ বছর হয়ে গেছে। এটি প্রতিহংসা।

বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, এদেশের বিচার ব্যবস্থা, আইনের শাসন, আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করছেন একজন। গতকাল জাতীয় সংসদে রুস্তম ফরাজি বলেছেন, দেশে যে সব দুর্নীতি হচ্ছে, যেখানে যা কিছু হচ্ছে, সবাই প্রধানমন্ত্রী উদাহরণ দিচ্ছেন। এক প্রধানমন্ত্রীই যদি সব পরিচালনা করেন, তাহলে অন্য মন্ত্রী, সচিব, আইজি বা অন্য কোনো পুলিশ কর্মকর্তার প্রয়োজন নেই। আজ দেশে এক দলীয় ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণাধীন একটি কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আজ যদি দেশের মানুষকে জিজ্ঞেস করা হয় শেখ হাসিনার পর আওয়ামী লীগের নেতা কে হবে, কেউ বলতে পারবে না। কারণ শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। সেখানেই বিয়ে করেছেন। এদেশের মাটির সঙ্গে তার ছেলে-মেয়ে, স্ত্রীর কোনো সম্পর্ক নেই। শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ যুক্তরাজ্যের সংসদের সদস্য। রেহানার ছেলে ববিও থাকে যুক্তরাজ্যে। এদেশের মাটির সঙ্গে তাদের ছেলে-মেয়েদের কোনো সম্পর্ক নেই।

বুলু আরও বলেন, আজকে রাষ্ট্রের কোনো কাঠামো নেই, বিচার ব্যবস্থা নেই, আইনের শাসন নেই। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভেঙেচুরে একাকার হয়ে কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী লীগ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন হয়ে গেছে। তাই রাষ্ট্রকে মেরামত করতে হবে। আর সেই কারণেই তারেক রহমান ২৭ দফা দিয়েছেন। আজ দেশের যে অবস্থা, এর থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে সব রাজনৈতিক সমমনা দলগুলো নিয়ে যে ঐক্য হয়েছে। সেই ঐক্যের ভিত্তিতে আগামী দিনে আন্দোলন সংগ্রাম করতে হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার আজ তারেক রহমানের আতঙ্কে ভুগছে। আতঙ্কিত হয়ে তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার মামলা করেছে।

গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি আলহাজ্ব খলিলুর রহমান ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবু নাছের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আলমগীর হোসেন, কৃষক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, গণতন্ত্র ফোরামের সমন্বয়কারী ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৩
এসসি/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।