ঢাকা, রবিবার, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

২৫ জানুয়ারি সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৩
২৫ জানুয়ারি সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ

ঢাকা: ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা তৈরিসহ ১৪ দফা দাবি আদায় এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আগামী ২৫ জানুয়ারি সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে নতুন এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন জোটের শরিক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।

বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে সরকার ও শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তনসহ ১৪ দফা আদায় এবং বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, আগামী ২৫ জানুয়ারি ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা, অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা তৈরির লক্ষ্যে এবং দ্রব্যমূল্যে ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে সারাদেশের প্রতিটি জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করবে গণতন্ত্র মঞ্চ। রাজধানীতে সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সমানে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ২৫ জানুয়ারি বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের ধারা আরও শক্তিশালী হবে। পাশাপাশি এ ফ্যাসিবাদী সরকারকে পতনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা তৈরির লড়াই আরও জোরদার হবে।

বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না জানিয়ে সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, এ সরকার ভোটের মোকাবিলা করতে সাহস পায় না। গত ১৪ বছরে তারা এত অপরাধ করেছে, এত লুট করেছে, যে ভোটের মুখোমুখি হওয়ার সাহস তাদের নেই।

তিনি আরও বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বলেছিল, তারা বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করবে। সেই সময় থেকে আমরা বলে আসছি, কীভাবে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হবে? একটি পথ হচ্ছে, আত্মনির্ভরশীল হয়ে টেকসই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা তৈরি এবং দাম সাশ্রয়ী রাখা। কিন্তু তারা (সরকার) এই পথে গেলেন না।

সরকারের ভুল নীতির জন্য আজকে সমস্ত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এর দায় তারা জনগণের ঘাড়ে চাপাচ্ছেন। ঘাড় একটাই পেয়েছেন, যেখানে তারা সব কিছু চাপিয়ে দেন। দেশে জনগণের ভোটাধিকার না থাকলে, সরকার ভোটের তোয়াক্কা না করে কেবল রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে দমন-পীড়নের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষের কি পরিণতি হয়, এক বিদ্যুৎ খাতের দিকে তাকালেই বোঝা যায়।

বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সরকারের চুরি, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও ভুল নীতির কারণে আজকে দেশে পানি, জ্বালানি তেল ও গ্যাসসহ সবকিছুর দাম বাড়ছে। তাদের এ চুরি, দুর্নীতি ও গণবিরোধী নীতির কারণে সাধারণ মানুষ কেন কষ্ট পাবে? আমরা বলেছি এ নীতি আপনারা পরিবর্তন করেন। কিন্তু চোর না শোনে ধর্মের কাহিনী।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, রাষ্ট্র সংস্কার না করে অন্য যে কোনো সংস্কার মূলত দুর্নীতিকে সহযোগিতা করছে। তাই এ সরকারকে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা তৈরির দাবি জানাচ্ছি।

বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুসহ গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মীরা। তবে জোটের অন্যতম শরিক দল গণঅধিকার পরিষদের কোনো নেতাকর্মীকে সমাবেশে দেখা যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৩
এসসি/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।