ঢাকা, রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপ-নির্বাচন

অবশেষে নির্বাচনী মাঠে আলোচিত উকিল সাত্তার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩
অবশেষে নির্বাচনী মাঠে আলোচিত উকিল সাত্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চারজন প্রার্থী। প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই নিজ নিজ সমর্থকদের নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তারা।

 

তবে সবাইকে ছাপিয়ে আলোচনার তুঙ্গে সদ্য বহিষ্কৃত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা উকিল আব্দুস সাত্তার ভুইয়া।  

এই উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সব ধরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও তিনি প্রকাশ্যে আসেন নি। তার পক্ষে সব রকম কার্যক্রম চালান ছেলে মাইনুল ইসলাম তুষার। এমনকি তাকে ফোনেও পাওয়া যায়নি।

অবশেষে নিজ গ্রামে প্রচারণার মাধ্যমে নির্বাচনী মাঠে নামলেন আলোচিত উকিল আব্দুস সাত্তার।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে আশেপাশের পাঁচ গ্রামের মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় সভার মাধ্যমে প্রচারণা শুরু করেন তিনি।  

হাজী মকছুদ আলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় উকিল আব্দুস সাত্তার ভুইয়া জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশ ও জনগণের স্বার্থেই দল থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। আমি সারা জীবন মানুষের কল্যাণের কথা ভেবেই সব সময় স্বচ্ছতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। এবারের উপ-নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্তও আমি নিজস্ব সৎ চিন্তা থেকেই নিয়েছি। তবে একটি মহল দল থেকে আমার পদত্যাগ নিয়ে এবং নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে নানা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তাদের থেকে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে।  

এসময় তিনি যে কোনো ধরণের অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি থেকে জনসাধারণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।  

এই স্বতন্ত্র প্রার্থী আরেও বলেন, নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের প্রতিশ্রুতি নিয়েই আমি ২০১৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলাম। তাদের উন্নয়ন ও কল্যাণে কাজ করার এখনো অনেক কিছু বাকি রয়েছে। সে সব অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করতেই নির্বাচনে এসেছি। আমি সবার সমর্থন ও সহযোগিতা চাই।

উকিল আব্দুস সাত্তার বলেন, আমি এ আসনে বিএনপি থেকে একাধিকবার সংসদ সদস্য ছিলাম। এবার পদত্যাগ করে আবারও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। কেন নিচ্ছি- এমন প্রশ্ন সবার মাঝে থাকলেও সব কথা বলা যায় না। শুধু বলতে চাই, পরিবেশ পরিস্থিতির কারণেই আমাকে পদত্যাগ করতে হয়েছে এবং পুনরায় নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।  
তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ বিএনপি করেছি, আবার পদত্যাগও করেছি। এ কারণে আওয়ামী লীগের, প্রধানমন্ত্রীর শত্রুও হতে পারতাম। কিন্তু আমি শত্রু হইনি। কারণ আমি যা করি এলাকার স্বার্থে ও জনগণের স্বার্থে। এখানে ভুল বোঝাবুঝির কোনো অবকাশ নেই।  

তিনি এসময় উপস্থিত পাঁচ গ্রামের মানুষের কাছে এ আসনের দুইবারের এমপি হিসেবে তাকে ভোট দেয়ার জন্য আহ্বান জানান। এ সময় উপস্থিত সবাই এই প্রবীণ নেতাকে আগামী ০১ ফেব্রুয়ারি ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার প্রতিশ্রুতি দেন।

সভায় হাজী সিরাজ খানের সভাপতিত্বে ও অরুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ সাদির সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অরুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তালেব, পাকশিমুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহাদ মেম্বার, সাবেক পাকশিমুল ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা কুতুবুল আলম, সৌদী আরব বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কামাল হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুর রহমান, ইউপি সদস্য মো. সুজন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩
এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।