খুলনা: খুলনায় যুবলীগের আসন্ন সম্মেলন ঘিরে উৎসবের আমেজ বইছে। সম্মেলনস্থলের আশপাশে সাঁটানো হয়েছে নানা ধরনের পোস্টার, ব্যানার।
আগামী ২৪ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) পাবলিক হলে খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতারা। খুলনার রাজনীতির অঙ্গনে মহানগর যুবলীগের এ সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
মহানগর কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে একক প্রার্থী হলেও জেলায় দুটি পদ চেয়েছেন ১৭ জন। নগর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে একক প্রার্থী যথাক্রমে বর্তমান আহবায়ক সফিকুর রহমান পলাশ ও বর্তমান যুগ্ম আহবায়ক শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন। ফলে নগর নেতৃত্বে পুনরায় আসছেন তারা এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
জেলায় সভাপতি পদে ৬ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১১ জন জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। সভাপতি পদ প্রত্যাশীরা হলেন- বর্তমান যুবনেতা অজিত বিশ্বাস, সরদার জাকির হোসেন, খুলনা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান চৌধুরী রায়হান ফরিদ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাদীউজ্জামান হাদী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আরাফাত হোসেন পল্টু ও জসিম উদ্দিন বাবু।
সাধারণ সম্পাদক প্রত্যাশী ১১ জনের মধ্যে রয়েছেন- যুবনেতা এবিএম মরুজ্জামান, মাহফুজুর রহমান সোহাগ, সাবেক ছাত্রনেতা দেব দুলাল বাড়ই বাপ্পী, তসলিম হুসাইন তাজ, মো. মুশফিকুর রহমান সাগর, মো. আবু সাঈদ খান, বর্তমান যুবনেতা জলিল তালুকদার, মো. কামরুজ্জামান মোল্লা, হারুন আর রশিদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ছাত্রলীগ জেলা সভাপতি মো. পারভেজ হাওলাদার।
মহানগর যুবলীগের আহবায়ক সফিকুর রহমান পলাশ বাংলানিউজকে বলেন, সম্মেলনের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র বাগেরহাট-১ আসনের এমপি শেখ হেলাল উদ্দিন। সভাপতিত্ব করবেন খুলনা জেলা যুবলীগ সভাপতি কামরুজ্জামান জামাল। এবারের সম্মেলন হবে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ সম্মেলন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালের ২৫ মে খুলনা জেলা ও মহানগর যুবলীগের সর্বশেষ ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন হয়েছিল। জেলার সম্মেলনে কামরুজ্জামান জামাল সভাপতি ও আক্তারুজ্জামান বাবু সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর আর সম্মেলন হয়নি।
ইতোমধ্যে যুবলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান জামাল জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হয়েছেন। আক্তারুজ্জামান বাবু খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদে আছেন। জেলা আওয়ামী লীগের বিগত কমিটিতে তারা দুজনই সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। জেলার ৯টি উপজেলা ও ৬৮টি ইউনিয়ন কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে মহানগর যুবলীগের সম্মেলনে সরদার আনিসুর রহমান পপলু সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক হন আলী আকবর টিপু। ২০০৮ সালের ৬ জানুয়ারি ওই কমিটি ভেঙে দিয়ে আনিসুর রহমান পপলুকে আহ্বায়ক, মনিরুজ্জামান সাগর ও হাফেজ মো. শামীমকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়।
পরে ২০১৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান পলাশকে আহ্বায়ক এবং ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি শেখ শাহজালাল হোসেন সুজনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে যুবলীগের ২৫ সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। এই কমিটি বর্তমানে সক্রিয় রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০ , ২০২৩
এমআরএম/এমএমজেড