ঢাকা: বিভ্রান্তি ও বিভেদের ফাঁদে পা না দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতনে জনগণের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার সংগ্রাম আরও এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার গণআন্দোলন-গণজোয়ারে ইতিমধ্যেই ভীত হয়ে পড়েছে এবং পুরোনো সকল স্বৈরাচারের পথ অবলম্বন করে প্রতিনিয়ত বিভ্রান্তি ও বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় হাতিরপুলে দলীয় কার্যালয়ে গণসংহতি আন্দোলন ঢাকা জেলা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ‘৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান এবং আমাদের সময়ের রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা জেলা কমিটির আহ্বায়ক বাচ্চু ভুইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনায় সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল। আরও আলোচনা করেন দলের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু।
সভায় জোনায়েদ সাকি বলেন, বর্তমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার গণআন্দোলন-গণজোয়ারে ইতিমধ্যেই ভীত হয়ে পড়েছে এবং পুরোনো সকল স্বৈরাচারের পথ অবলম্বন করে প্রতিনিয়ত বিভ্রান্তি ও বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কিন্তু কোনো মিথ্যাচার কিংবা ষড়যন্ত্রই গণজোয়ার থামাতে পারবে না। বরং উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান আমাদের শিক্ষা দেয় জনগণের ঐক্যবদ্ধ উথানই প্রবল স্বৈারাচারের পতন ঘটাতে পারে। ভোটাধিকার ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের লক্ষ্যে জনগণের ক্রমবর্ধমান বৃহত্তর ঐক্য, গণজাগরণ-গণঅভ্যুত্থান বর্তমান সরকারেরও পতন ঘটাবে।
সূচনা বক্তব্যে আবুল হাসান রুবেল বলেন, আইয়ুব খানের জবরদস্তি শাসনের বিরুদ্ধে অধিকারহীন, নিপীড়িত জনমানুষের ক্ষোভের সম্মিলিত বহিঃপ্রকাশ ঘটে ১৯৬৯ সালে। ২০ জানুয়ারি আসাদ শহীদ হয় এবং পরবর্তীতে ধারাবাহিক কর্মসূচি চলতে থাকে। ২৪ জানুয়ারি ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী আইয়ুব খানের পতন হয়। মওলানা ভাসানীর দৃঢ়চেতা নেতৃত্ব এবং নিঃস্বার্থ ভূমিকাই এই আন্দোলনের সকল পক্ষের ভেতর ঐক্য সৃষ্টি ও আন্দোলনকে সফল করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক ছিল। ঊণসত্তরের গণআন্দোলন যে সাহস ও প্রেরণা সৃষ্টি করেছিল, গ্রাম-শহরের ঐক্য ঘটিয়েছিল তাই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তি রচনা করেছিল।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
পিআর/এমজেএফ