ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা ভারতে ছিলেন তারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি দাবি করলেও কোনো লাভ হবে না। আওয়ামী লীগ কোনোদিন গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি হতে পারে না।
আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি দাবি করলেও এটার কোনো সত্যতা নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন অন্য কেউ নয় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। বলা হয়, তিনি নাকি সৈনিক ছিলেন। অবশ্যই তিনি সৈনিক ছিলেন, তিনি এ দেশে মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছেন, তিনিই দেশকে মুক্ত করেছেন।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন ড. মঈন খান।
গ্যাস, তেল, বিদুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ ও সকল রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি।
মঈন খান বলেন, ১৯৭২ সালের পরে হাজার হাজার গণতন্ত্রকামী ও বিরোধীদলের নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার রাজনীতি করে না। বিএনপি রাজনীতি করে গণতন্ত্র রক্ষার জন্য। বাংলাদেশের মানুষ কারো দাসত্ব করে না। আমরা কারাগার থেকে মুক্তি চাই না। আমরা আমাদের চিন্তার মুক্তি চাই। তাই আমরা আন্দোলনে নেমেছি। নির্বাচনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। এই সরকার মেগা উন্নয়নের নামে মেঘা দুর্নীতি করে যাচ্ছে। এই সরকার ভোটকে ভয় পায়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বর্তমান প্রজন্মকে আমরা স্মরণ করে দিতে চাই, আওয়ামী লীগ সরকার এই দিনে দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এদেশের সব মানুষকে রাজনীতি করার স্বাধীনতা এবং অধিকার দিয়েছেন জিয়াউর রহমান। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ দেশের গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করছে। আর জিয়াউর রহমান দেশকে সামনের দিকে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচার সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমে পতন ঘটিয়েছে।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে কোনো ভোট হয়নি, গায়ের জোরে সরকার ক্ষমতা দখল করে। যারা আওয়ামী লীগ তারা দেশে বারবার গণতন্ত্র হত্যা করেছে আর বিএনপি দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে, পুনরুদ্ধার করেছে। আজকে দেশে গণতন্ত্র নাই বলে দেশের মানবাধিকার নেই।
ড. মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, আজকে আমাদের নেতাকর্মীদের শপথ করতে হবে, দশ দফার ভিত্তিতে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৩
টিএ/এমজেএফ