ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

৭ মার্চের শপথ স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির বিরূদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ: তথ্যমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০২৩
৭ মার্চের শপথ স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির বিরূদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ: তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা: স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলাই ৭ মার্চের শপথ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।  

তিনি বলেছেন, দুঃখের বিষয়, আজকে স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি আস্ফালন করে।

আর তাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। এই স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এবং যারা দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলাই ৭ মার্চের শপথ।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সকালে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।  

ড. হাছান বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের এই দিনে তার কালজয়ী ভাষণের মাধ্যমে একটি নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তরিত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেছিলেন- এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ এবং তিনি বলেছিলেন- ‘তোমাদের যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থেকো শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে। ’ তার এই বক্তব্যে আমাদের নিরস্ত্র জাতি সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তরিত হয়েছিল।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর অন্যতম। বঙ্গবন্ধু যে আসলেই রাজনীতির কবি ছিলেন, তার ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে সেটি আরও পরিস্ফুটিত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চই কার্যত: বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এমনভাবে ঘোষণা করেছিলেন যে তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবেও আখ্যা দেওয়ার কোনো সুয়োগ তিনি পাকিস্তানিদের দেননি।

হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ঢাকা থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে রিপোর্ট দিয়েছিল- চতুর শেখ মুজিব এমনভাবে কার্যত পাকিস্তানের স্বাধীনতাই ঘোষণা করে দিয়েছেন কিন্তু আমাদের চেয়ে চেয়ে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কোনো কিছুই করার ছিল না।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০২৩
এমআইএইচ/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।