ঢাকা: জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ দুর্দিনে মা ও মেয়েদের আঁচল খুঁজেছে। হরতালে সামনে নারীরা আগলে রেখেছে, বাধা উপেক্ষা করে অনেক সময় ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, তেমনি একটি সঠিক সিদ্ধান্ত ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনাকে নেতৃত্ব আনার সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগ নিয়েছিল। এ ভূখণ্ডের মানুষ যখন সংগ্রামের প্রশ্ন আসে তখন জেন্ডারের বিষয় মাথায় আনেনি। কাকে দিলে এগিয়ে যাওয়া যাবে সেটাই বিবেচনার বিষয় হয়।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘নারীর ক্ষমতায়ন: বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনার দেশে ফেরার মুহূর্তের কথা স্মরণ করিয়ে তিনি বলেন, স্লোগান উঠেছিল, ঝড় বৃষ্টি আঁধার রাতে, শেখ হাসিনা আমরা আছি তোমার সঙ্গে। অনেক চড়াই-উতরাই পার হয়ে তিনি এদেশে এসেছিলেন।
তিনি বলেন, আজকে মেট্রোরেলের প্রথম চালক হিসেবে নারীর কথা বলা হচ্ছে সেটাই তো স্বাভাবিক। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন, সেখানে যে নারীর প্রথম চালক হবে না সেটা তো হতে পারে না। আগে ভোটার লিস্টে মায়ের নাম থাকতো না, সেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিশ্চিত করেছেন।
নারীদের এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনা পরিশ্রম করছেন দাবি করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী বাস্তব অবস্থা দেখে সিদ্ধান্ত নেন৷ আমরা চেষ্টা করবো শেখ হাসিনা যে পথ দেখাবেন, অন্ধকার চিড়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার।
এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জাতীয় পর্যায়ে অবদান রাখায় ছয় নারীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
সম্মাননা প্রাপ্ত ছয় নারী হলেন- প্রথম নারী জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাসিমা বেগম, বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য ফারজানা ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রথম নির্বাচিত নারী সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, জাতীয় কারাতে খেলোয়াড় মারজানা আক্তার প্রিয়া, প্রথম নারী মেট্রোরেল অপারেটর মরিয়ম আফিজা, প্রথম নারী ট্রেন অপারেটর আসমা আক্তার।
মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদক জাহানারা বেগম।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫, ১৬ মার্চ, ২০২৩
এনবি/জেএইচ