ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

ব্যালট মানেই সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা নয়: জিএম কাদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০২৩
ব্যালট মানেই সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা নয়: জিএম কাদের

ঢাকা: জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে তিনশো আসনেই ব্যালটে নির্বাচন হবে, এটা আমাদের দাবি ছিল। ব্যালটে নির্বাচন মানেই সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা নয়, এটা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি পদক্ষেপ মাত্র।

সোমবার (০৩ এপ্রিল) বিকেলে মোহাম্মদপুরের প্রিয়াংকা কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জিএম কাদের বলেন, এতদিন যারা নির্বাচন করেছেন তারা জানিয়েছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি হবে না, তা সরকারের ওপর নির্ভর করে। কারা নির্বাচিত হবেন তাও সরকারের পক্ষ থেকে নির্ধারণ করা হয়। এমন ধারণা সাধারণ মানুষের। সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা নিজের আয়ত্তে রেখেই নির্বাচন করছে। যে সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সেই সরকার যদি নির্বাচন করে তাহলে তাকে কখনোই পরাজিত করা সম্ভব নয়। নির্বাচন ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। সরকার ক্ষমতায় থেকেও যেনো নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত আমরা দেখতে চাচ্ছি।  

তিনি আরও বলেন, জনগণের প্রত্যাশা, দলীয় নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন দেখে পার্টির শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ সিদ্ধান্ত নেবেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে।

ঢাকা-১৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রাথমিকভাবে শফিকুল ইসলাম সেন্টুর নাম ঘোষণা করেন দলটির চেয়ারম্যান।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমরা প্রায় প্রতিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। সিটি কর্পোরেশনে আমরা অংশ নেবো। এতে নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে কিনা তা আমাদের ধারণা হয়, সাধারণ মানুষও জানতে পারে। একতরফা নির্বাচন হলে বোঝা যায় না নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে কিনা। আবার, সরকার বলতে পারে বিরোধীরা নির্বাচনে আসেনি। তাই প্রতিটি নির্বাচনেই আমরা জয়ের জন্য নির্বাচন করছি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, আমরা গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। সংবাদ প্রকাশে ভুল হলে তার বিচার হবে। কিন্তু শেষ রাতে ১০ থেকে ১৫ জন মানুষ একজন সাংবাদিককে তুলে নিয়ে যাবে। দীর্ঘ সময়ে সেই সাংবাদিকের খোঁজ পাওয়া যাবে না, তা সভ্য সমাজে মেনে নেওয়া যায় না। প্রেস কাউন্সিলে যেতে পারতো, কিন্তু ভয়ার্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে একজন সাংবাদিককে তুলে নিয়ে যাবে, তা কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এটি এখন বিচারাধীন বিষয়, তাই এ প্রসঙ্গে আর আলোচনার অবকাশ নেই। আমরা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাই। এছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশোধন দরকার। এভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন থাকলে দেশে গণমাধ্যমের কোনো ভূমিকা থাকবে না।

উত্তরের আহ্বায়ক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম সেন্টুর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম পাঠানের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, এসএম ফয়সাল চিশতী, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী।

আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, এটিইউ তাজ রহমান, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, মাননীয় চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরীফা কাদের এমপি, মনিরুল ইসলাম মিলন, আমানত হোসেন আমানত, হেনা খান পন্নী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মমতাজ উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান লিপ্টন, মনির আহমেদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা তৈয়বুর রহমান, খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান খান, ইয়াহ ইয়া চৌধুরী, এইচ এম শাহরিয়ার আসিফ, জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান লুৎফর রেজা খোকন, যুগ্ম মহাসচিব- গোলাম মোহাম্মদ রাজু, মো. শামসুল হক, ফখরুল ইসলাম শাহজাদা, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক নির্মল চন্দ্র দাস, মো. নাসির উদ্দিন সরকার, মো. হেলাল উদ্দিন, কাজী আবুল খায়ের, মাখন সরকার, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য এম এ রাজ্জাক খান, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহিন, গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম সম্পাদক নূরুল হক নুরু, আখতার হোসেন দেওয়ান, এম এ সোবহান, সমরেশ মন্ডল মানিক, গোলাম মোস্তফা, হাফেজ ক্বারী ইসারুহুল্লা আসিফ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২৩
এসএমএকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।