নাটোর: নাটোরে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. শহিদুল ইসলাম বাচ্চুসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)-১৪।
সোমবার (০৩ এপ্রিল) দিনগত রাতে টাঙ্গাইল জেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকালে তাদের দুজনকে নাটোর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত রোববার (০২ এপ্রিল) দুপুরে নাটোর সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিউন হোসেন। ওই মামলায় জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. শহিদুল ইসলাম বাচ্চুকে প্রধান আসামি করে ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ১০০/১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
পরে রোববার বিকেলে শহরের ফৌজদারিপাড়া জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. শহিদুল ইসলাম বাচ্চুর লাইসেন্স করা পিস্তল জব্দ করা হয়। একই দিনে সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আলম আবুলকে তেবাড়িয়ায় তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। গত রাতে আরও দুজনকে আটক করা হলো। এ নিয়ে এ মামলায় তিনজন গ্রেফতার হলেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াতের অব্যাহত দেশ ‘বিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতা’র বিরুদ্ধে নাটোর পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শনিবার (০১ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে শহরের কান্দিভিটুয়া দলীয় কার্যালয় থেকে এক শান্তি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপশহর মাঠে যাওয়ার সময় পুলিশ তাদের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে বাধা দেয়।
পরে সেখানেই সমাবেশ করার সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. শহীদুল ইসলাম বাচ্চু সমাবেশ লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এছাড়া বিএনপির অন্য নেতাকর্মীরা লোহার রড, চাইনিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালান। হামলায় জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বিপ্লব ও শহর যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সায়েম হোসেন উজ্জ্বল আহত হন। এছাড়া তাদের ছোড়া ইটের আঘাতে অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২৩
এসআই