ঢাকা: আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা ও গণপরিষদ সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী ইমাজউদ্দিন প্রামাণিক জানিয়েছেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পরই মুক্তিযুদ্ধ শুরু হবে এটা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওই নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার বোর্ডেই বলেছিলেন।
শনিবার (৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৪৭ বিধিতে উপস্থাপিত প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে ইমাজউদ্দিন প্রামাণিক এ কথা জানান।
এ সময় অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
ইমাজউদ্দিন প্রামাণিক বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে অংশ গ্রহণের জন্য আমি দরখাস্ত করলাম। আওয়ামী লীগের ইন্টারভিউ বোর্ডে বঙ্গবন্ধু আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন তুমি কেমন আছো? আমি বললাম, স্যার আমি ভালো আছি, আপনি কেমন আছেন, তিনি বললেন ভালো আছি। তিনি (বঙ্গবন্ধু) কপি বের করলেন, প্রথমটি সম্পর্কে বললেন বোর্ডে এটি হলো মুসলিম লীগ। নির্বাচনের পর যুদ্ধ শুরু হবে, এর আগেই পালাবে। বঙ্গবন্ধু আরও বললেন, ও ইমাজউদ্দিন প্রামাণিক ও ছাত্রলীগ করে ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট ছিল নওগাঁ মহকুমায় এ আমার সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতা করবে না, জাতির সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতা করবে না।
আ. লীগের এই নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধু একমাত্র প্রথম বাংলাদেশের স্বাধীনতা চেয়েছেন, তার আগে অনেক নেতা ছিলেন তারা কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। বাংলাদেশের মানুষের পুরোপুরি মুক্তি চাননি। তারা ক্ষমতায় যেতে চেয়েছেন আর বঙ্গবন্ধু একমাত্র নেতা যিনি জীবন দিয়ে স্বাধীনতা দিয়ে গেলেন। এতো কাজ করার পরও যদি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার পক্ষে ক্যানভাস করতে হয় তাহলে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যে আরও দুর্ভোগ আছে।
আব্রাহাম লিংকন থেকেই কেউ তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলেননি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোথাও নাই, থাকবে না, থাকবে না। যাদের নির্বাচন করার দরকার করবেন। সব জায়গায় বলা আছে জনগণের সরাসরি ভোটে সরকার নির্বাচিত হবে। এই বিশ্বাস যাদের আছে তারা নির্বাচন করুক, যাদের নাই তাদের নির্বাচন করার দরকার নাই। অন্যরা ক্ষমতায় এলে আবার ষড়যন্ত্র করবে বলেও মনে করেন ইমাজউদ্দিন প্রামাণিক।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০ ৮, ২০২৩
এসকে/এসআইএস