ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

সিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে ইভিএম আতঙ্ক শুরু হয়েছে: জি এম কাদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩০ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৩
সিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে ইভিএম আতঙ্ক শুরু হয়েছে: জি এম কাদের

ঢাকা: জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, আমরা সব নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। আমরা দেখতে চাই এবং মানুষকে দেখাতে চাই, সরকার কী করছে- কী করতে চায়।

প্রার্থীরা বলছেন, সিটি নির্বাচনে ইভিএম চাপিয়ে দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে ইভিএম আতঙ্ক শুরু হয়েছে।  

সোমবার (৮ মে) বিকেলে রাজধানীর বনানীস্থ কার্যালয়ে বিকল্প স্বেচ্ছাসেবক ধারা সভাপতি আবুল বাসার ও সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন বাবুর নেতৃত্বে বিকল্পধারার শতাধিক নেতাকর্মী জাতীয় পার্টিতে যোগদান উপলক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশন বলেই যাচ্ছে ইভিএমকে ভয় পাবেন না। দেশের মানুষ কিন্তু বোকা নয়। ইভিএম নিয়ে বর্তমান সরকার কেরিকেচার করেছে। ইভিএমে কে কোথায় ভোট দিল তার প্রমাণ থাকে না। কে কীভাবে ডিক্লেয়ার করে তার প্রমাণ থাকে না। সাধারণ মানুষ মনে করে, ইভিএম দিয়ে সরকার যাকে খুশি বিজয়ী ঘোষণা করতে পারে। সাধারণ মানুষ বলেন, ভোট দিতে গেলে সরকারদলীয় লোকজন ভোট দিয়ে দেয়। আমরা ভোট দিলেও সরকারি দল আর না দিলেও সরকারি দলই পাস করছে। সরকার, প্রশাসন ও নির্বাচন ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত সবাই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে সরকারের ইচ্ছেমতো ফলাফল ঘোষণা করার ব্যবস্থা করছে। সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করতে চাইলে ইভিএম বাদ দিয়ে নির্বাচন দিতে হবে।  

তিনি বলেন, কোনো সিটি নির্বাচনেই ইভিএম দেওয়া ঠিক হবে না। ক্ষমতায় থেকে, প্রশাসন ব্যবহার করে এবং দলীয়করণের মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থা কুক্ষিগত করে নির্বাচনে পাস করলে জনগণের সমর্থন প্রয়োজন হয় না। এমন নির্বাচনে যারা বিজয়ী হন জনগণ তাদেরও সম্মান করে না। কারণ তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হননি। নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে বিরাজনীতিকরণের দিকে দেশ ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে দেশের গণতন্ত্র হত্যা করা হয়েছে।

এ সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ৩২ বছরে দেশের মানুষের শান্তি হরণ করেছে। দুটি দলের কারণে এতদিনেও দেশের নির্বাচন পদ্ধতি নির্ধারণ হয়নি। আবার আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুটি দলই প্রমাণ করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচনের পদ্ধতি পরিবর্তন করতে হবে। আনুপাতিক হারে নির্বাচন হলেই দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির হাত থেকে মুক্তি চায়।   

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও লালমনিরহাট জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক শেরীফা কাদেরের সভাপতিত্বে এবং নির্বাহী সদস্য ও লালমনিরহাট জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব জাহিদ হাসানের পরিচালনায় যোগদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, বিকল্প স্বেচ্ছাসেবক ধারার সভাপতি আবুল বাশার, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন বাবু।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২৩
এসএমএকে/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।