ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পাতানো নির্বাচনে দেশের মানুষ আর পা দেবে না। দেশের অর্থনীতি দ্রুত রসাতলে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা শুধু উন্নয়নের নামে মিথ্যা কথার মাধ্যমে জনগণকে ধোঁকা দিচ্ছে। ঋণের টাকা পরিশোধ শুরু হলে অবস্থা আরও তীব্র হবে। গোটা রাষ্ট্রকে তারা পরিকল্পিতভাবে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করছে। এটাই মূলত এ সরকারের উদ্দেশ্য।
সোমবার (২২ মে) এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (এ্যাব) এর উদ্যোগে রাজধানীর বনানীতে একটি হোটেলে ‘দেশের জ্বালানি খাতে অমানিশা: লুটপাট আর অরাজকতার চালচিত্র’ শীর্ষক গোল টেবিল সেমিনারে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এ্যাবের সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে ও প্রকৌশলী কে এম আসাদুজ্জামান চুন্নুর পরিচালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এ্যাবের মহাসচিব আলমগীর হাসিন আহমেদ।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়ে যাচ্ছে। দেশকে ফোকলা করে দিচ্ছে সরকার। ঋণের বোঝা এতটাই বেশি যে আগামীতে তা পূরণ করা যাবে কিনা সন্দেহ আছে। এর ফলে গ্রোথ এতো নিচে নেমে আসবে যে দেশ একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র পরিণত হবে। এটা আমার কথা না, এটা দেশের নামকরা অর্থনীতিবিদদের কথা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নব্য বর্গি, তারা সব লুটপাট করে নিচ্ছে। এদের উদ্দেশ্য যেনতেনোভাবে ক্ষমতায় থাকা। তাদের ক্ষমতায় থাকতে হবে। এদেশের মানুষকে বোকা বানানোর জন্য তারা ভিন্ন ভিন্ন প্রচারণা করে যাচ্ছে। তারা বলছে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, কিন্তু নির্বাচন শুরুই হয়নি অথচ রোববার রাতে বিএনপি নেতা মজনুকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
আওয়ামী লীগ সব চেয়ে বড় সন্ত্রাসী এবং দুর্নীতি পরায়ণ দল মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বরূপে আবির্ভূত হয়েছে, পুলিশ দিয়ে প্রতিরোধ করছে। জনগণ যখন প্রতিবাদ করতে যায় তখন পুলিশ ব্যবহার করে তাদের দমন করছে। ভয়ের রাজত্ব কায়েম করছে। অগ্নিসন্ত্রাসের নামে তারাই আগুন দিয়ে মানুষ মেরেছে।
তিনি বলেন, এখন আবার সেই একই ষড়যন্ত্র করছে ও প্রচার করছে সরকার। তাই দেশে অবস্থানরত বিভিন্ন দূতাবাস সেই ভয়ে তাদের নাগরিকদের সতর্ক করছে।
লুটপাট করতে আবার ক্ষমতায় থাকতে চায় অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, কিন্তু তা আর হবে না। পাতানো নির্বাচনে দেশের মানুষ আর পা দেবে না। এ লুটেরাদের ও ভোট চোরদের সরাতে না পারলে দেশের অস্তিত্ব থাকবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে নির্বাচন হবে না। সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সব দেশ প্রেমিক দল এক হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২৩
টিএ/আরআইএস