ঢাকা: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, শেখ হাসিনার জন্য একটি পথই খোলা আছে। তিনি যদি বেগম খালেদা জিয়ার কাছে হাজির হয়ে বলতে পারেন আসেন সবাই মিলে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন করি।
সোমবার (৫ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত 'বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও জিয়াউর রহমান বীর উত্তম সমার্থক' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, আজকে ঘোষণা এসেছে, পায়রা বন্দর স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেছে৷ সব বন্ধ হয়ে যাবে। আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) এখন একমাত্র রক্ষা করতে পারেন বেগম খালেদা জিয়া। এটি আপনাকে মানতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের অভ্যন্তরে এবং সারা বিশ্বে একটি জিনিস অত্যন্ত স্পষ্ট হয়ে গেছে, সামনের সময়টি পরিবর্তনের সময়। এই বছরই শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে। এটি তিনিও জানেন। ৷ তিনি এত অপকর্ম করেছেন, ক্ষমতা ছাড়া ছাড়া আর কোনো পথ নেই।
দুদু বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান এমন একজন মানুষ ছিলেন, যাকে শ্রদ্ধা না জানালে, বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ সম্মানিত হয় না৷ শিষ্ঠাচর উন্নত জায়গায় গিয়ে পৌঁছায় না। তাকে নিয়ে গর্ব করা যায়। যার সংস্পর্শে থেকে নিজেকে উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যেতো। তার সাথে দেশের কারোর তুলনা হয় না। সারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত যেসব রাষ্ট্র নায়ক, যোদ্ধা, মুক্তি সংগ্রামী আছেন, সেই পর্যায়ের মানুষ হচ্ছেন জিয়াউর রহমান।
শেখ হাসিনা নিজেকে ইতিহাসের পাতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য দুইবার সুযোগ পেয়েছিলেন উল্লেখ করে দুদু আরো বলেন, যারা কয়লা খায়, তারা ভালো কিছু খেতে পারে না৷ ওরা শুধু কয়লাই খায়। আপনি (শেখ হাসিনা) ২০১৪ সালের নির্বাচনা ভাল করতে পারতেন। সুযোগ ছিলো আপনার। খালেদা জিয়া আপনার পাশে এসে দাঁড়াতে চেয়েছিল। কিন্তু আপনার অহংকারে মাটিতে পা পড়ে না৷ আপনি ২০১৪ সালের নির্বাচন করে নিজেকে এমন এটি ঘৃণিত জায়গায় নিয়ে গেলেন, যা আর পরিবর্তন হবে না। আবার আপনি ২০১৮ সালে সুযোগ পেলেন। সব বিরোধী দলকে আপনি বিশ্বাস করতে বলেছিলেন। কিন্তু ২০১৮ সালের নির্বাচন আপনার দিনে করার সাহস হলো না, করলেন রাতের বেলা।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্ঠা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম,চেয়ারপারসনের উপদেষ্ঠা জয়নুল আবদীন ফারুক, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ-সভাপতি আব্দুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মিয়া মোঃ আনোয়ার, মোবারক হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০২৩
টিএ/জেএইচ