ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

‘জাতীয় বেঈমান’ ঘোষণা করবে বিএনপি, তারপরও নির্বাচনে প্রার্থিতা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৮ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০২৩
‘জাতীয় বেঈমান’ ঘোষণা করবে বিএনপি, তারপরও নির্বাচনে প্রার্থিতা

রাজশাহী: দলীয় সিদ্ধান্তে দেশের সবগুলো নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে বিএনপি। কোনো নেতা যদি কোনো নির্বাচনে অংশ নেয় তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।

এমনকি জাতীয় বেঈমান ঘোষণা করা হবে তাদের। এমন খড়্গের পরও দলের সিদ্ধান্ত মানছেন না রাজশাহীর প্রায় এক ডজন নেতা। তারা রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে অংশ নিচ্ছেন।

জানা গেছে, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুর হুঁশিয়ারি থোড়াই কেয়ার করছেন রাসিক নেতারা। তারা নির্বাচনে অংশ নেবেনেই। এ অবস্থায় দল ও অঙ্গসংগঠনের ১৬ নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রে সুপারিশ করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার (৫ জুন) রাজশাহী মহানগর বিএনপি এসব নেতার তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈসা বিকেলে বাংলানিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কেন্দ্রে পাঠানো তালিকায় নাম রয়েছে- রাজশাহী মহানগর বিএনপির রাজপাড়া থানার সাবেক সহ-সভাপতি ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী বদিউজ্জামান বদি, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি ও কাউন্সিলর প্রার্থী আবু বকর কিনু, শাহ মখদুম থানা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মো. টুটুল, শাহ মখদুম থানার সাবেক সহ-সম্পাদক আবদুস সোবহান লিটন, মহানগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী বেলাল হোসেন, একই ওয়ার্ডের প্রার্থী ও নগর যুবদলের সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক রনি হোসেন রুহুলের।

এছাড়া নগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুজ্জামান টিটু, ২২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর প্রার্থী মির্জা রিপন, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী বোয়ালিয়া থানা (পূর্ব) যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আলিফ আল মাহমুদ লুকেন, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও ২৭ নম্বরের প্রার্থী আনোয়ারুল আমিন আজব, মতিহার থানা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী আশরাফুল হাসান বাচ্চুরও নাম রয়েছে।

আর রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনেও মহানগর মহিলা দলের পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের নামের তালিকাও পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রে। তারা হলেন- সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৭, ৮ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মুসলিমা বেগম বেলী; বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও ৯, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী আলতাফুন নেসা পুতুল; যুগ্ম সম্পাদক ও ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী সামসুন নাহার; সহ-সভাপতি ও ২২, ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী শাহানাজ বেগম শিখা এবং যুগ্ম সম্পাদক ও ২৫, ২৮ ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী আয়েশা খাতুন মুক্তি।

বিএনপির কেন্দ্রে পাঠানো ওই সব নেতার মধ্যে আব্দুস সোবহান লিটন, বেলাল হোসেন, আনোয়ারুল আমিন আজব ও আশরাফুল হাসান বাচ্চু বর্তমান কাউন্সিলর। মুসলিমা বেগম বেলী ও সামসুন নাহার সংরক্ষিত আসনের বর্তমান কাউন্সিলর। ভোটে অংশ নিতে সম্প্রতি বেলী দল ছেড়েছেন।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈসা বাংলানিউজকে বলেছেন, বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি আর কোনো নির্বাচনেই অংশ নেবে না। দলীয় হাইকমান্ডের এমন সিদ্ধান্তের কথা জেনেও অনেক নেতা অনুষ্ঠিতব্য রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তাই তাদের তালিকা কেন্দ্র থেকে চাওয়া হয়েছিল। এজন্য বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ১৬ জনের তালিকা করে দলীয় দপ্তর সম্পাদকের মাধ্যমে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এখন কেন্দ্র থেকেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০২৩
এসএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।