দিনাজপুর: দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কারখানা থাকলেও সরকারের জ্বালানি কেনার টাকা নেই বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
বুধবার (৭ জুন) দুপুরে শহরের লোকভবন চত্বরে অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কারসহ ১৪ দফা দাবিতে রোডমার্চ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, মানুষ তার অধিকারের কথা বললে সেটা যদি আওয়ামী লীগ বিরোধী হয়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই তাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বানিয়ে দেওয়া হয়। বিভিন্নভাবে সরকার দেশের জনগণকে বিভক্তির চেষ্টা করছে। ভোট হোক বা না হোক, তারাই ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে থাকতে চায়। কারণ, একমাত্র তারাই নাকি দেশের উন্নয়নের অধিকারী।
তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি পাওয়ার চান আর দেশের উন্নয়ন করতে চান। ওই পাওয়ার নেওয়া আর উন্নয়ন করতে চাওয়ার উদ্দেশ্য ১৪ বছরে দেশের জনগণ বুঝতে পেরেছে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, এই সরকারের সব দুর্নীতি দেশের মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে। এ সরকার নাকি বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করেছেন। কয়েকদিন আগেও প্রধানমন্ত্রী বললেন, দেশে বিদ্যুতের সমস্যা নেই। তাহলে কেবল ইউক্রেন যুদ্ধ আর করোনা এসে সরকারের উন্নয়নের বেলুন ফুটো করে দিয়েছে। এই উন্নয়ন তো টেকসই উন্নয়ন না। আওয়ামী লীগ আগে বিএনপিকে বলতো যে, খাম্বা আছে বিদ্যুৎ নেই! এখন আমরা বলি, কারখানা আছে কিন্তু জ্বালানি নাই।
জেলা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বায়ক সৈয়দ ইমদাদুল হকের সভাপতিত্বে রোডমার্চ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বায়ক হাসনাত কাইয়ূম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।
এর আগে এই রোডমার্চ সমাবেশে একাত্মতা প্রকাশ করে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এসময় রংপুর বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন দুলাল, সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহমেদ কচি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০২৩
এনএস