ঢাকা, বুধবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

রাজনীতি

শেখ হাসিনা বুঝে গেছেন পতন আসন্ন: ডা. ইরান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০০ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২৩
শেখ হাসিনা বুঝে গেছেন পতন আসন্ন: ডা. ইরান

ঢাকা: বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, শেখ হাসিনা বুঝে গেছেন, তার পতন আসন্ন। স্যাংশন বা ভিসানীতি আমার কাছে বড় কিছু না।

এটা সরকারের অর্জিত কর্মফল।  

তিনি বলেন, আমরা পাকিস্তানের মাধ্যমে নিষ্পেষিত ছিলাম। ৭১ এর আগের নির্বাচনে জনগণ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ভোট দিয়েছিল, দিনের ভোট রাতে হয়নি।

তিনি আরও বলেন, দেশে এখন একটি রাজনৈতিক ঘনঘটা চলছে। রাজনীতিবিদরা আর রাজনীতি পরিচালনা করেন না। আমলা-কামলা ও পুঁজিপতিরা এখন রাজনীতি করছে। রাজনীতি এখন পরিণত হয়েছে লাভজনক ব্যবসায়।

শুক্রবার (৭ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে ডা. ইরান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ দুভাগে বিভক্ত। একদিকে শোষক, আরেকদিকে শোষিত। ক্ষমতায় আসার আগে শেখ হাসিনা প্রকাশ্যে বলেছিলেন, ১০ টাকায়, বিনা পয়সায় সার ও ঘরে-ঘরে চাকরির ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু, ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনা ১০ টাকায় চাল খাওয়াননি।  

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা গত ১৫ বছর ধরে একই জিকির করে যাচ্ছেন, তার অধীনে নির্বাচনে সুষ্ঠু হবে। কিন্তু, সর্বশেষ বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচন কি সুষ্ঠু হয়েছে? বায়তুল মোকাররমের সামনে জামায়াত সমাবেশ করেছে, একইভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটেও সমাবেশ করেছে। কিন্তু, গত ১০ বছর যাবত তাদের কোনো মিটিং-মিছিল করতে দেওয়া হয়নি, তার মানে সরকার সেটি অন্যায় করেছে। তাদের মানবাধিকার যেভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে, তার দায়ে আদালতে মামলা হওয়া উচিত।

লেবার পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আজ ফেসবুকে দেখলাম বিএনপি কিছু লোকের তালিকা তৈরি করছে। শুধু কি ডিসি-এসপিদের দোষ? থানার ওসিদের কোনো দোষ নেই? আপনারা এরকম কয়জনকে মামলা দেবেন?  বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে তাদের কথা দিতে হবে যে, কোনো ধরনের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি করবে না। আমরা প্রতিহিংসার বাংলাদেশ দেখতে চাই না।

তিনি বলেন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেছেন, সিন্ডিকেটই আজ মন্ত্রণালয় চালাচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী নিজেই নাকি সিন্ডিকেট চক্রের হোতা। রক্ষক আজ ভক্ষক হয়ে গেছে। ঘণ্টায়-ঘণ্টায় কাঁচামরিচের দাম কে বাড়িয়েছে, সেটা সরকারের তদন্ত করা উচিত।

ডা. ইরান বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের সমস্ত ব্যয়ভার মনে হয় বাংলাদেশ থেকেই যায়। কারণ, যেটারই দাম বাড়ে, সেটার উৎপাদনে সমস্যা দেখা দেয়। বড় কোনো ঘটনা যখনই ঘটে, পুলিশ বলে প্রয়োজন হলে ব্যবস্থা নেবে, কিন্তু সে প্রয়োজনটা কী? ঘটনা ঘটলেই ব্যবস্থা নিতে হবে। সেটা ছোটো নাকি বড়ো, সেটা দেখার বিষয় না।

বিক্ষোভ সমাবেশে লেবার পার্টি রমনা থানার বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২৩
এমকে/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।