ঢাকা, শুক্রবার, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন আবারও আন্তর্জাতিকভাবে প্রমাণিত: তথ্যমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০২৩
বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন আবারও আন্তর্জাতিকভাবে প্রমাণিত: তথ্যমন্ত্রী কথা বলছেন তথ্য ও সম্প্রচার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

ঢাকা: তথ্য ও সম্প্রচার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি যে সন্ত্রাসী সংগঠন তা আবারও আন্তর্জাতিকভাবে প্রমাণিত হলো। ’

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) রংপুরে বাংলাদেশ টেলিভিশন কেন্দ্র প্রকল্পস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মন্ত্রী।

 

এ সময় সাংবাদিকরা ‘কানাডার আদালত পঞ্চমবারের মতো বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করলো’ এ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এ কথা বলেন।

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে বিএনপির কয়েকজন সদস্য যখন কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন, তখন কানাডার আদালত তাদের রায়ে বলেছিল- বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন এবং তারা গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে বলপ্রয়োগ করে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাচ্ছে এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত, তারা যানবাহন পোড়াচ্ছেন, মানুষ পোড়াচ্ছেন। এরপর আবার কয়েকদিন আগে বিএনপির আরেকজন সদস্য সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন এবং সে ক্ষেত্রে কানাডার ফেডারেল আদালত আবার একই রায় দিয়েছেন যে, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন সুতরাং তাদের আর রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া যাবে না এবং এ মর্মে তার আবেদন তারা খারিজ করে দিয়েছেন। ’ 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন,‘বিএনপির লজ্জা থাকা উচিত যে, কানাডার আদালত পঞ্চমবারের মতো তাদের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিলো এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও এভাবে যখন বিএনপি সদস্যরা আবেদন করেছেন, অনেক জায়গাতেই প্রায় অনুরূপ মন্তব্য করেছে যে, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। ’

সাংবাদিকরা বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান ও গয়েশ্বর রায়কে সরকারের পক্ষ থেকে উন্নত খাবার ও সেবাদান নিয়ে বিএনপির বিরূপ মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, ‘এটি আওয়ামী লীগের শিষ্টাচার এবং ১৫ বছর তাদের আদর করা হয়নি সেটি সঠিক নয়। যখনই তারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের ডিভিশন দেওয়া হয়েছে এবং কারাগারের মধ্যে যতটুকু সম্ভব ভালো রাখা যায় সে চেষ্টা সব সময় করা হয়েছে। আমরা এবং আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে অনেক নেতা যখন গ্রেপ্তার হয়েছে, তাদের খোঁজখবর নিয়েছি যাতে কোনো অসুবিধা না হয়। ’ 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এটি আমাদের দলের শিষ্টাচার যা আমাদের আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিখিয়েছেন। এই শিষ্টাচার বিএনপির মধ্যে নাই, এর মর্মও তারা বোঝে না। ’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ বেগম মতিয়া চৌধুরীকে রাসেল স্কোয়ারে টানা-হেঁচড়া করেছেন, আমাদের জ্যেষ্ঠ নেতা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে পুলিশ লাঠি দিয়ে পিটিয়েছেন। তাদের সেবা-শুশ্রুষা তো দূরের কথা কোনো কিছুই করা হয়নি। বিপরীতে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা যেটি করেছেন এটি রাজনৈতিক শিষ্টাচার। এটির প্রশংসা আমানউল্লাহ আমান নিজেও করেছেন আবার বের হওয়ার পর ভোল্ট পাল্টেছেন। ’

বুধবার ( ২ আগস্ট) রংপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের মধ্যে যে ব্যাপক সাড়া, উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখতে পাচ্ছি এতে এটিই প্রমাণিত হয় যে, রংপুর জেলা এবং মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজনে বুধবার আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর জনসভা প্রকৃতপক্ষে জনসমুদ্রে রূপান্তরিত হবে। যদিও আমরা মাঠে জনসভার স্থান দিয়েছি কিন্তু প্রকৃতপক্ষে পুরো রংপুর শহরই জনসভার স্থলে রূপান্তরিত হবে। ’

ঢাকায় বিএনপির সোমবারের সমাবেশ প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তারা নিজেরাই তো ‘বোল্ড-আউট’ হয়েছে। বিএনপি ঢাকা অবরোধ করতে চেয়েছিল, সেখান থেকে পালিয়েছে। সোমবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের জনসভা দেখে আমার নিজেরই লজ্জা লাগলো যে, ফাঁকা মাঠ, বিএনপির জনসভায় মানুষ এতো কম কেন! আপনারা নিশ্চয়ই টেলিভিশনে ফুটেজগুলো দেখেছেন, কত মানুষ হয়েছে আমি জানি না তবে বড়জোর ১০-১৫ হাজারের চেয়ে বেশি মানুষ সেখানে হয়নি। ’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি এত বড় সমাবেশের ডাক দিলো, সেখানে কোনো মানুষ নাই। নয়াপল্টনের সামনে ৩০ হাজার মানুষ ধরে রাস্তায়, সে কারণে তারা নয়াপল্টনে করতে চায়। বড় মাঠে গেলে তো বোঝা যায় কত মানুষ যোগ দিয়েছে, সে জন্য মাঠে যেতে চায় না। কালকে মাঠে যাওয়ার পর বোঝা গেছে আসলে তাদের কর্মীরাই সেখানে নেই। ’

এর আগে বিটিভি রংপুর কেন্দ্র প্রকল্প নিয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার প্রত্যেকটি বিভাগে টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সেজন্য একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। রংপুর বিভাগেও বাংলাদেশ টেলিভিশনের একটি পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্র স্থাপনের কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। সেটি হলে এখানকার শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী সবাই সংস্কৃতির নানা বিষয়ে তাদের দক্ষতা বাংলাদেশময় তুলে ধরার সুযোগ পাবে এবং স্থানীয় কৃষ্টি-সংস্কৃতিকেও তুলে ধরার সুযোগ পাবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০২৩
এমআইএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।