ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপির নিবন্ধন বাতিল চেয়ে সিইসির কাছে যুবলীগের স্মারকলিপি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৩
বিএনপির নিবন্ধন বাতিল চেয়ে সিইসির কাছে যুবলীগের স্মারকলিপি

ঢাকা: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নিবন্ধন বাতিলের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবের মাধ্যমে সংগঠনটির নেতারা এ সংক্রান্ত স্মারকলিপি জমা দেন।

এতে স্বাক্ষর করেন সংগঠনের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিলিখ।

ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমের দপ্তর থেকে বেরিয়ে মাইনুল হোসেন খান নিলিখ সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির রাজনীতি যতদিন বাংলার মাটিতে থাকবে, ততদিনই তারা দেশ ধংসের চকান্তে থাকবে। ততদিনই তারা পেট্রল বোমা হামলা, আগুনে পোড়ানো, গ্রেনেড হামলা, মানুষ হত্যা করা, মানে সারা বিশ্বের কাছে ২০০৫ সালে যেমন জানান দিয়েছিলেন যে সারা বাংলাদেশে সিরিজ বোমা হামলা করে বাংলাদেশ একটি জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরেছিল, সেই পথেই তারা হাঁটতে চায়।

অতএব আমরা মনে করি এ সংগঠনের বিচরণ আর বাংলার মাটিতে আর বেশিদিন থাকা উচিত নয়। সে কারণে আমরা তারেক রহমানকে ফিরিয়ে এনে তার শাস্তি দাবি করছি এবং বিএনপি রাজনীতি, যে নিবন্ধন সেটি বাতিলের দাবি নিয়ে আমরা ইসিতে স্মারকলিপি দিয়ে গেলাম। আমরা তেমনি ভাবে স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র এবং আইন মন্ত্রণালয়েও আমাদের অনুভূতির কথা জানিয়েছি।

আশাকরি অবশ্যই বাংলার যুব সমাজের যে প্রত্যাশা, যা চাহিদা তারা তা পূরণ করবেন।

তিনি বলেন, স্মারকলিপি তারা গ্রহণ করেছেন এবং তা যাচাইবাছাই করে নিশ্চয় আমাদের জানাবেন। আমরা বাংলার জনগণের পক্ষ থেকে যে দাবি তুলে ধরলাম সে দাবির প্রতি তাদের কী নির্দেশনা আছে তার জন্য অপেক্ষা করছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে ধাবিত হচ্ছে। যখন বাংলাদেশের মানুষ সুন্দর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে, যখন বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সেশন জট নেই, বাতাসের বারুদের গন্ধ পাওয়া যায় না, এখন আর ঘুম থেকে ওঠেই শোনা যায় না যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো মার কোল খালি হয়ে গেছে। একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বাংলাদেশে বিরাজমান ঠিক সেই সময় ৭১ এর পরাজিত শক্তি, দেশবিরোধী শক্তি, ৭৫ সালে হত্যাকারীদের সংগঠন এবং ২১ আগস্ট গ্রনেড হামলার সংগঠন, আবার সেই তারেক রহমান গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি অবৈধ সম্পদ অর্জনের কারণে নয় বছরের সাজা পেয়েছে, একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি একটি দলের ভাইস চেয়ারম্যান। এটি জাতির জন্য দুঃখজনক।

তিনি আরও বলেন, একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের যুব সমাজকে ভার্চুয়ালি বিভ্রান্তি করছে। তাদের সংগঠনকে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হওয়ার পথ দেখাচ্ছেন। সম্প্রতি সে ঘোষণা দিয়েছে যে যদি একটি লাশ পড়ে নয়টি লাশ ফেলানোর জন্য। এমনি করে দেশটিতে সে সন্ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করতে চায়। কিছুদিন আগে ঢাকা শহরের প্রবেশ পথ অবরোধ করে তারা যেভাবে কর্মকাণ্ড করলেন, বাস পোড়ালেন, মানুষ মারলেন, পুলিশের ওপর হামলা করলেন, বিদেশিদের কাছে জানান দিতে চান বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র। এখানে বিনিয়োগ করা উচিত হবে না। বিষয়টি হলো বলছে চাচ্ছে বাংলাদেশ ধংস হয়ে যাক। পিছিয়ে পড়ুক। দেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে সেটি তারা চায় না।

নিখিল বলেন, ৭৫ সালে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে এদেশের গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার লঙ্ঘণ করলেন। তার উত্তরসূরিরা তারেক রহমান ও তার (জিয়া) বিধবা পত্নীর নেতৃত্বে যেভাবে দলটি পরিচালিত হচ্ছে ১৩, ১৪ সালে আন্দোলনের নামে পেট্রল বোমা হামলা করে মানুষ হত্যা করা হ্রযেছে। গবাদি পশুর ওপরেও তারা হামলা করেছে।

যুবসমাজ মনে করে জিয়াউর রহমান একজন অনুপ্রবেশকারী মুক্তিযোদ্ধা, সে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যদিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছে। যুব সমাজ তার মরণোত্তর শাস্তি দাবি করছে। একই সঙ্গে তারেক রহমান ও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী যারা বিদেশে আছে তাদের ফিরিয়ে এনে শাস্তি ব্যবস্থা করা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৩
ইইউডি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।