ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

ক্ষমতায় বসে পথের সেতু উড়িয়ে দিয়েছে আ. লীগ: রেজা কিবরিয়া

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৩
ক্ষমতায় বসে পথের সেতু উড়িয়ে দিয়েছে আ. লীগ: রেজা কিবরিয়া ণঅধিকার পরিষদের একাংশের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া: ছবি ডিএইচ বাদল

ঢাকা: গণঅধিকার পরিষদের একাংশের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেছেন, আওয়ামী লীগ একটি সেতু পার হয়ে ক্ষমতায় গেছে। সেটি হচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

তারা সেই সেতু পার হয়ে ওপারে গিয়ে ক্ষমতা নিয়ে সেই সেতু উড়িয়ে দিয়েছে। যাতে আর কেউ ব্যবহার না করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, এ জালিম সরকারকে হটানো ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নাই। এটি আমাদের করতে হবে বাঁচার জন্য। এদের (সরকার) আর কোনো স্থান বাংলাদেশে নেই।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট)  বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এবং কেন্দ্রীয় বিভিন্ন নেতার সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী নাগরিক দল।

আলোচনা সভায় ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের লড়াই করে এবং করছে। আওয়ামী লীগ দুইবার আমাদের ইতিহাসে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। একবার করেছে শেখ মুজিব, আরেকবার করেছে তার মেয়ে। আর বিএনপি দুইবার গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এই ইতিহাস মনে রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করার যে কৃতিত্ব সেটি দেওয়া উচিত জিয়াউর রহমানকে। ৭৫ সালে উনি সব রাজনৈতিক দলকে ফেরত আনলেন। এ কৃতিত্ব উনাকে দিতে কেন এত কার্পণ্য, আমি বুঝি না। দ্বিতীয়বার ১৯৯০ তে বেগম খালেদা জিয়া যে কষ্ট করেছিলেন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্যে এটির একটি স্বীকৃতি দিতে হবে। তাদের দুইজনকেই স্বীকৃতি দিতে হবে।

গণঅধিকার পরিষদের এ নেতা বলেন, এই জালিম সরকার অত্যাচার করে দুই হাজার আলেম ওলামাদের জেলে আটকে রেখেছে। জামায়াতে ইসলামীর প্রধানকে জেলে রেখেছে। ওদের (সরকার) কোনো মামলা আমরা বিশ্বাস করি না। ওদের (সরকার) কোনো মামলার রায়ের ওপর আমার কোনো ভরসা নেই। ওরা (সরকার) কাকে বিচার করে, কাকে অপরাধী বলে, কাকে নিরপরাধী বলে আমি বিশ্বাস করি না। জনগণ এই রায় মানে না। এই সরকার পতনের পর আমরা এসব রায়কে উঠিয়ে নতুন ব্যবস্থা নিব। যারা আসল অপরাধী তাদের ধরা হবে।

তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান, জুবাইদা রহমানসহ বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে নামা আমার দল গণঅধিকার পরিষদ ও ৩৭ দলের কর্মীদের নামে আওয়ামী লীগ যে মামলা দিয়েছে সেগুলো টিকবে না। তারা যত খুশি মামলা দিক। তারা ভাবছে, এই মিথ্যা মামলা দিয়ে আন্দোলনকে আটকাতে পারবে। এই মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের আটকাতে পারবে না। তারা আমাদের আরও রাগান্বিত করছে। কিন্তু আমরা সুদৃঢ়ভাবে সঠিক পথে আছি সেটি আমরা বুঝতে পারছি।

জাতীয়তাবাদী নাগরিক দলের সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ মো. ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ও জাতীয়তাবাদী নাগরিক দলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাবেদ ইকবাল।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৩
 এসসি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।