ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

তরুণদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও প্রজনন স্বাস্থ্য রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৩
তরুণদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও প্রজনন স্বাস্থ্য রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান

ঢাকা: তরুণদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও প্রজনন স্বাস্থ্য রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি।

তিনি বলেছেন, সারা বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে মুক্তির জন্য যুবকরা বিভিন্ন জায়গাতে আন্দোলন সংগ্রাম করছে।

এ সংগ্রামে আদিবাসী তরুণদের যোগ দিতে হবে। তাদের পরিবর্তনের দূত হিসেবে ভূমিকা পালন করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন তিনি।

আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপিএস’র পরিচালক শাহনাজ সুমি।  

আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সহ-সাধারণ সম্পাদক ডা. গজেন্দ্রনাথ মাহাতো, মটস্-কারিতাস পরিচালক জেমস গোমেজ, আদিবাসী যুব পরিষদের সভাপতি হরেন্দ্রনাথ সিং, হিল উইমেন ফেডারেশনের সভাপতি শান্তি দেবী তঞ্চঙ্গ্যা ও জাতীয় আদিবাসী পরিষদ বৃহত্তর ঢাকা কমিটির সদস্য সুরতী সিং।  

সভায় রাশেদ খান মেনন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের উপকূল থেকে প্রায় তিন কোটি মানুষ ভবিষ্যতে বাস্তুচ্যুত হবে। চট্টগ্রামে বন্যা, পাহাড়ের ভূমিধস জলবায়ু পরিবর্তনেরই প্রভাব। এ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে দেশ ও বিশ্বকে একমাত্র তরুণরাই বাঁচাতে পারে। পাহাড়ের আদিবাসী কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার বিষয়ক কার্যক্রমকে শুধুমাত্র এনজিওর মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে এটিকে রাজনৈতিক ও রাষ্ট্র্রীয় দায়িত্ব হিসেবে দেখার আহ্বান জানান তিনি।

সভায় বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক সম্পদের যথেচ্ছ ব্যবহার, বনজ সম্পদ ধ্বংস এবং অপরিকল্পিত নগরায়ন আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি, জীবন ও জীবিকার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এর জন্য প্রয়োজন হল, সবুজায়ন ও পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ, অধিকারবোধ জাগিয়ে তোলা ও যুবদের নিজেদের মধ্যে কার্যকর যোগাযোগ স্থাপন করা। তারা বলেন, পাহাড়ে সুপেয় পানির সংকট ও যোগাযোগ ব্যবস্থার অনুন্নয়ন সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশী ঝুঁকিতে আছে কিশোর-কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য। কিশোর-কিশোরীরা স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে মানসিক সমস্যারও মুখোমুখি হচ্ছে।

সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৯৭ সালে সম্পাদিত পার্বত্য শান্তি চুক্তি হচ্ছে, পাহাড়ি বিশেষ করে চট্টগ্রাম পার্বত্য জেলার আদিবাসীদের বড় রাজনৈতিক অর্জন। এই চুক্তির সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন হলে ভূমিসহ আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের অধিকার পাহাড়ে বসবাসরত জাতিগোষ্ঠীর নিজেদের জীবন নিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। এই কাজে সফলতার জন্য আদিবাসী যুব সমাজ ও জাতিগোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৩
টিএ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।