ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

জিয়াউর রহমানের সমাধিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের শ্রদ্ধা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২৩
জিয়াউর রহমানের সমাধিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের শ্রদ্ধা ছবি: রাজিন চৌধুরী

ঢাকা: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন ও সূরা ফাতিহা পাঠ করা হয়েছে।

শনিবার (১৯ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এরপর তারা জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনা করে সূরা ফাতিহা পাঠ করেন।

ফাতেহা পাঠের পর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা জিয়াউর রহমানের মাজারে দোয়া করেন। তারা জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।

এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যে স্বপ্ন দেখেছিল সে স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করব। আমরা ১৯৭১ সালে যে স্বপ্নের দেশ গড়ার জন্য যুদ্ধ করেছি তা এ বর্তমান সরকার একদলীয় শাসনব্যবস্থাকে পাকাপোক্ত করার মাধ্যমে ধ্বংস করে দিয়েছে। এ সরকার মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ করেছে। মোটকথা পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে তারা তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ব্যবহার করছে।

তিনি বলেন, এ অবস্থা থেকে উত্তরণ পেতে আজকের দেশের সমস্ত বিরোধী দলসহ সাধারণ জনগণ এ সরকারের বিদায় চায়। দেশের সমস্ত জনগণ এক দফা দাবি আদায়ের রাজপথে আন্দোলন করছে।

তিনি আরও বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর যিনি গণতন্ত্রকে আগলে রেখেছেন তাকে এ সরকার দীর্ঘ ছয় বছর ধরে কারাবন্দি করে রেখেছেন। তিনি আজ জীবনমৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। আমরা মনে করি তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। বেগম খালেদ জিয়ার মুক্তির জন্য আজকে আমাদের কর্মসূচি আছে। আমরা আশা করি তিনি মুক্তি পাবেন। আমরা আশা করি তিনি বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করে সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। একইভাবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে এ সরকার মিথ্যা মামলা ও সাজা দিয়ে দেশের বাইরে নির্বাসিত করে রেখেছেন। তাকে আমরা দেশে ফিরিয়ে এনে তার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে সহায়তা করব।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। দেশের মানুষকে জিম্মি করে তারা একটি রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। বর্তমানে এ দেশের সমস্ত মানুষ এক হয়েছে। তারা তাদের ভোটের অধিকারের জন্য লড়াই করছে। এক দফা লড়াইয়ে নিশ্চয়ই জনগণ জয়ী হবে।

ভারতের প্রসসঙ্গে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ভারত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। তাই আমরা আশা করব ভারত বাংলাদেশের মানুষের যে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা তার মর্যাদা করবে। সবদলের সম্মিলিত অংশগ্রহণে মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের ব্যাপারে তারা পূর্ণ সমর্থন দেবে। যদিও আমরা ভারতকে এ কথা বলতাম না। পত্রিকায় ভারতের বিষয়ে বিভিন্ন কথা বলছে। যদি এটি সত্য হয়ে থাকে, তাহলে তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে এসব কথা বলছে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই বাংলাদেশে যে কোনো মৌলবাদী দল ক্ষমতা আসবে তার কোনো সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের ইতিহাসে দেখা গেছে কখনোই কোনো মৌলবাদী দল ক্ষমতায় আসতে পারেনি। মৌলবাদী যে শক্তি তা বাংলাদেশের রাজনীতিতে দিন দিন ক্ষিণ হয়ে আসছে।

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষের আস্থার ওপর আস্থা রাখি। তাদের শক্তির ওপর আস্থা রাখি। আমি মনে করি ভারতে দেখা উচিত বাংলাদেশের মানুষ আসলে কি চায়। আর এর বিরুদ্ধে ভারত যদি কোনো পদক্ষেপ নেয় তাহলে তা হবে অত্যন্ত দুঃখজনক। পাশাপাশি আমরা এটিও মনে করি তাদের এ পদক্ষেপ বাংলাদেশের মানুষের জন্য এবং এ অঞ্চলের জন্য শুভ হবে না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব  হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২৩
ইএসএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।