লক্ষ্মীপুর: কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, শেখ হাসিনার কথায় আর দেশ চলতে পারে না। হাসিনা অবৈধ, অসাংবিধানিক।
শনিবার (১৯ আগস্ট) খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার দাবিতে জেলা বিএনপির আয়োজনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
এ্যানি বলেন, আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতি করে রাতের অন্ধকারে ক্ষমতায় এসেছে। এরা এখন আবার সংবিধান সম্মতভাবে নির্বাচন করতে চায়। এরা লাফালাফি করে পার্শ্ববর্তী দেশের দাদা বাবুদের পদলেহন করে। আপনাকে বুঝতে হবে, আন্তর্জাতিক রাজনীতিটা কোথায় কী অবস্থায় আছে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ্যানি আরও বলেন, আমরা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার। খালেদা জিয়াও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার। শহীদ জিয়ার পরিবার এ এদেশের মানুষের সবচেয়ে জনপ্রিয় পরিবার। বিপদে-আপদে জিয়া পরিবার সব সময় জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। খালেদা জিয়া গৃহবধূ ছিলেন। তিনি আন্দোলন সংগ্রাম করতে করতে আজকে তিনি মৃত্যুর মুখোমুখি।
তিনি বলেন, আজকে আইনের শাসন নাই, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নাই। ভোটের অধিকার নাই। পার্লামেন্টে যারা আছেন, তারা কি নির্বাচিত সংসদ সদস্য? তাদের পদত্যাগ করা উচিত। এরা দখলদার সরকার। এরা ফ্যাসিস্ট এবং কর্তৃত্ববাদী সরকার।
বিদেশিরা বিএনপির বন্ধু উল্লেখ করে তিনি বলেন, হাসিনা একদিকে বলেন- বিএনপির সঙ্গে বিদেশি কোনো শক্তি নাই। অন্যদিকে বলেন- বিদেশিরা হচ্ছে বিএনপির চোখের মনি। এক মুখে দুই কথা। আমাদের সঙ্গে বিদেশের সবার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সঙ্গেও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। জিয়াউর রহমান এটা সৃষ্টি করছেন। তিনি বলেছেন বিদেশে আমার বন্ধু আছে, শত্রু নাই। কিন্তু আজকে যারা ক্ষমতায় আছে, তারা তো প্রভু মেনে চলে। তাদের ভোটের দরকার নাই। জনগণকে কোনো মূল্যায়ন করে না। এখন আওয়ামী লীগ ও যৌথ লীগ একত্রিত হয়ে মানুষের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালাচ্ছে। আমাদের এখন কাজ হচ্ছে হাসিনাকে বিদায় দিতে হবে। বিদায় দিতে হলে রাজপথে আন্দোলন করতে হবে।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ভালো হয়- নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনটা দেন। তার আগে পদত্যাগ করতে হবে। অবৈধ পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে হবে। এ নির্বাচন কমিশনের পক্ষে এ দেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন করানো সম্ভব নয়। এজন্য আমাদের দফা একটা। হাসিনা আপনি পদত্যাগ করেন, পার্লামেন্ট ভেঙে দেন। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে কীভাবে নির্বাচন করতে হবে, সে ব্যবস্থা করেন। তা না হলে পালিয়ে যেতে হবে। এছাড়া অন্যকোনো বিকল্প নেই।
পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান, সদর (পূর্ব) উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাঈন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, ফেরদৌস আহমেদ মানিকসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।
এদিকে, বিএনপির পদযাত্রাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল পরিমাণ সদস্যকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে শহরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২৩
এসএম/এসআরএস