ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

মুক্তাগাছায় যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২৩
মুক্তাগাছায় যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

ময়মনসিংহ: এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুইটি পক্ষের দ্বন্দ্বেরে জেরে মো. আসাদুজ্জামান (৩০) নামে এক যুবলীগ কর্মী খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন নাহিদ নামে এক যুবক।

সোমবার (২৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ১২টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এর আগে রাত ৯টার দিকে মুক্তাগাছা পৌরসভার আটানী বাজার এলাকায় তাকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা।  

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মজিদ বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত আসাদুজ্জামান উপজেলার তারাটি গ্রামের মো. শামসুল হকের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাত পৌনে ৯টার দিকে আটানী বাজারে একটি চায়ের দোকানে বসে আসাদুজ্জামান ও নাহিদসহ কয়েকজন একসঙ্গে বসে চা পান করছিলেন। এসময় একদল যুবক সেখানে এসে আসাদুজ্জামানকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যান। এতে আহত হন নাহিদও। এ অবস্থায় আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে আসাদুজ্জামান মারা যান। নাহিদের অবস্থা শঙ্কামুক্ত।  

ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হাই আকন্দ বলেন, আসাদুজ্জামান উপজেলা যুবলীগের সক্রিয় কর্মী ও সাবেক কমিটির সদস্য। তিনি রাজনৈতিকভাবে আমাদের অনুসারী ছিলেন। আর এ কারণেই দলীয় প্রতিপক্ষ দমন করতে পরিকল্পিতভাবে তাকে হাত-পা ভেঙে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।  

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বাবুর অনুসারী পৌর মেয়র মো. বিল্লাল হোসেন সরকার।

তিনি বলেন, এটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড না। আমার ধারণা, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বে তাকে খুন করা হয়েছে। আশা করছি, পুলিশের তদন্তের এ হত্যার মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে।

নিহতের পরিবার জানায়, গত ঈদের আগে আসাদুজ্জামানের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল। ওই ঘটনায় মামলাও চলছে।  মূলত ওই ঘটনার জের ধরেই স্থানীয় যুবলীগ নেতা মনিরের নির্দেশে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।  

এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার চেষ্টা করেও যুবলীগ নেতা মনিরের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।  

এ বিষয়ে মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মজিদ জানান, অটোরিকশা থেকে চাঁদা তোলা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। মূলত এ বিরোধের জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় রাজিব ও শহিদ নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২৩
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।