ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ছাত্র সমাবেশে জুমার নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করবে ছাত্রলীগ। সংগঠনটির পক্ষ থেকে এটিকে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ ছাত্র সমাবেশ আখ্যা দিয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে সপ্তাহজুড়ে।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
সাংগঠনিক নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে এতে উপস্থিত থাকবেন।
ছাত্র সমাবেশে জুমার নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা প্রসঙ্গে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ আজিজুল বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পবিত্র জুম্মার নামাজের ব্যবস্থা থাকছে। দুপুর দেড়টায় বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য একজন হাফেজ মাওলানা ঠিক করে রেখেছি। একই সাথে যারা নামাজ আদায় করবেন তাদের জন্য অজুর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ারর্দী উদ্যান ঘুরে দেখা গেছে, উদ্যানের চারদিকে বসেছে নিরাপত্তা বেষ্টনি। রমনা কালিমন্দিরের গেট ছাড়া সব প্রবেশপথ বন্ধ রাখা হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সমাবেশস্থল প্রস্তুতের জন্য মাঠকর্মীরা পরিশ্রম করছেন। যেসব স্থানে পানি জমে আছে, সেসব স্থান বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। এ ছাড়া সমাবেশস্থলের সামনের অংশজুড়ে বিভিন্নভাবে ভাগ করা হয়েছে। এক ভাগ থেকে অন্য ভাগে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা তল্লাশি (আর্চওয়ে গেট) বসানো হয়েছে।
উদ্যানের পূর্ব অংশে রাখা হয়েছে পুলিশ কন্ট্রোল রুম। এ ছাড়া মঞ্চকে নৌকার আদলে শোকের আবহে সাজানো হয়েছে। ১৫ আগস্ট শহীদের ছবিযুক্ত ব্যানার স্থাপন করা হয়েছে।
বিকেলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ দলের সিনিয়র নেতারা সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামীকালের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে সারা বাংলাদেশ থেকে রাজধানী ঢাকায় যে তারুণ্যের ঢল নামতে শুরু করেছে তাতে আমাদের বিশ্বাস, এটি স্মরণকালের সর্ববৃহৎ ছাত্র সমাবেশে পরিণত হবে। এটিকে আমরা তারুণ্যের অভিযাত্রা বলতে পারি। দেশের বৈধ এবং নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র চলছে তার বিরুদ্ধেই মূলত এই ছাত্র সমাবেশ। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্রলীগ তথা শিক্ষার্থীদের করণীয় সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য দেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২৩
এসকেবি/এমজেএফ