ঢাকা: বর্তমান সরকার পুলিশ বাহিনীকে ধ্বংস করে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
তিনি বলেন, দেশের গোটা পুলিশ বাহিনী মধ্যে ৫ শতাংশ হয়তো খারাপ, বাকি ৯৫ শতাংশ ভালো।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ তো চাকরি করে। তারা না থাকলে এই সমাজ ভালো থাকবে না। কিন্তু যেভাবেই হোক, এই সরকার পুলিশকে ধ্বংস করে ফেলেছে।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু এসব কথা বলেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন।
অবস্থান কর্মসূচিতে দুদু বলেন, একটি কথা দিবালোকের মতো সত্য যে, ডিসেম্বর-জানুয়ারির আগেই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে, স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হবে, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং ভবিষ্যতে যারা মানবিক মানুষ, গণতন্ত্রের মানুষ, স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ তারাই সরকার গঠন করবে। এটিই সত্যি।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। আমাদের নেত্রী, দেশনেত্রী তাকে নির্যাতন করা হচ্ছে, সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। স্পষ্ট করে বলি, তার যদি কিছু হয় তাহলে এটিকে দেশবাসী হত্যাকাণ্ড বলে গ্রহণ করবে। এটি সরকারের মাথায় রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে। জিয়াউর রহমানের হত্যার বিচার হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে এই হত্যাকাণ্ডেরও বিচার হবে। বর্তমান সরকার প্রধান এবং যারা দায়িত্বে আছেন, তারা যদি এটা মনে রাখেন তাহলে তাদেরও ভালো হবে, দেশেরও ভালো হবে, আমাদেরও ভালো হবে।
দুদু বলেন, বাংলাদেশে একজন মাত্র নোবেল পেয়েছেন, তিনি ড. ইউনূস, তার সঙ্গে কী শুরু করেছে! সারা দেশের মানুষ, সারা বিশ্ব তার পক্ষে। শুধুমাত্র সরকারের পক্ষের গুটিকয়েক মানুষ তার বিপক্ষে। আইনমন্ত্রী বলেছেন, তার (ড. ইউনূস) পক্ষে কথা বললে কোনো অসুবিধা নেই। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া বলেছেন, ইউনুস ভালো মানুষ। তার বিপক্ষে তিনি সই করবেন না। এখন এমরান সাহেবের নেমপ্লেট ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। তিনি তো আপনাদেরই লোক। একটু ভিন্নমত পোষণ করেছেন। তাতেই আপনাদের এই দশা!
তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন একবার বলল, সবার সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। তারপরে বলল, কেউ এলে আসুক, না এলে নাই। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতো একটি নির্বাচন আপনারা করতে চান। ভেবে-চিন্তে করবেন। পাকিস্তানিরা বাঙালিদের দমিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিল। ৭০ সালের নির্বাচনে তারা ভেবেছিল শেখ মুজিবুর রহমানকে ক্ষমতা না দিলে কী হবে, পাকিস্তান কিন্তু থাকেনি। এই সরকারের যারা নিয়ন্ত্রণকারী, তারা যদি মনে করে কিচ্ছু হবে না তাহলে তারা ভুল চিন্তায় আছে।
বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়ের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, বিলকিস ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৩
এসসি/আরএইচ