ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

বিএনপি নেতা এ্যানিসহ তিনজনের নামে পরোয়ানা, ৯ জনের জামিন নামঞ্জুর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩
বিএনপি নেতা এ্যানিসহ তিনজনের নামে পরোয়ানা, ৯ জনের জামিন নামঞ্জুর

লক্ষ্মীপুর: বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া এবং সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে লক্ষ্মীপুরের আদালত।  

লক্ষ্মীপুরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সহিংসতার ঘটনায় পুলিশের দায়েরকৃত দুই মামলায় রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন এ নির্দেশ দেন।

একই মামলায় জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাছিবুর রহমানসহ ৯ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  

গ্রেপ্তারকৃতদের কারাগারে নেওয়ার সময় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করেন। এসময় উত্তেজিতরা সরকার বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গ্রেপ্তারকৃতদের কারাগারে নেয় পুলিশ।

জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুই মামলায় ৯ জনকে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। একই মামলায় আদালতে অনুপস্থিত থাকায় শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া ও সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত অন্যরা হলেন- জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম, সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান রাজন, নাদিম মাহমুদ জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, লক্ষ্মীপুর পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবুল বারাকাত সৌরভ বুলেট, সদর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক বায়েজীদ ভূঁইয়াসহ ৯ জন।  

আসামিপক্ষের আইনজীবী ও লক্ষ্মীপুর আইনজীবী সমিতির সভাপতি আহমেদ ফেরদৌস মানিক বলেন, আমাদের তিন নেতা অসুস্থ। আমরা তাদের জন্য সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু আদালতে তাদের বিরুদ্ধে গেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এটি ফরমায়েশি আদেশ ছিল। বিচারকদের বাধ্য করে এসব আদেশ দেওয়া হয়। দেশে আইনের শাসন নেই বলেই এমন ঘটনা ঘটছে।  

প্রসঙ্গত, ১৮ জুলাই লক্ষ্মীপুরে ত্রিমুখী সংঘর্ষ ও সজিব হত্যার ঘটনায় সদর মডেল থানায় গত ১৯ জুলাই রাতে ৪টি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। সজিবের মেঝো ভাই মো. সুজন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।  

এছাড়া শহরের দক্ষিণ মজুপুর এলাকায় কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম নুরুল আমিন রাজুর বাসভবন ও ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় তিনি নিজেই ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া দায়িত্ব পালন কাজে বাধাসহ পুলিশকে আহত করার ঘটনায় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হোসেন বাদী হয়ে বিএনপি নেতা এ্যানি চৌধুরীকে প্রধান করে ২৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। বিস্ফোরক ও নাশকতার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান বাদী হয়ে আরও একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলাতেও বিএনপি নেতা এ্যানি চৌধুরীকে প্রধান করে ৩০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ২৭ জুলাই উচ্চ আদালত থেকে দুই মামলায় এ্যানিসহ ১২ জনকে জামিন দেন আদালত। জামিনের মেয়াদ শেষে আইনজীবীর মাধ্যমে জেলা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন তারা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।