ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

তত্ত্বাবধায়কের জন্য ১৭৩ দিন হরতাল করেছিল আ. লীগ: ফখরুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩
তত্ত্বাবধায়কের জন্য ১৭৩ দিন হরতাল করেছিল আ. লীগ: ফখরুল

ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আওয়ামী লীগের ছিল। এর জন্য ১৭৩ দিন তারা হরতাল করেছিল।

ভোটে জিতে তারাই আবার সেটি (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে প্রহসনের নির্বাচন চালু করেছে।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর উত্তরা আব্দুল্লাহপুরে একদফা দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।  

সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, খালেদা জিয়ার মুক্তির লক্ষ্যে ১ দফা দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি।  

এতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকার বলছে, আগামী ২০২৪ সালে যে নির্বাচন আসছে ওই নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। কোন সংবিধান? যে সংবিধান তোমরাই কাটাছেঁড়া করেছ। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি কাদের ছিল? আওয়ামী লীগের ছিল। এরজন্য ১৭৩ দিন তারা হরতাল করেছিল। দুই/তৃতীয়াংশ ভোটে পাস করে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার পাস করেছিলেন। তার পর বাংলাদেশে ৪টি নির্বাচন হয়েছে। একটি নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। এরপর যেই আওয়ামী লীগ দুই/তৃতীয়াংশ ভোটে পাস করে ক্ষমতায় এতো তারা পাল্টি মেরে দিয়েছে। তারাই আবার সেটি বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে প্রহসনের নির্বাচন চালু করেছে।  

তিনি বলেন, আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, এই দেশের মানুষের মতামত উপেক্ষা করে এই হাসিনার সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে এক দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চালু করেছে। কিন্তু এই দেশের মানুষের কোনো মতামত নেওয়া হয়নি।  

বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাসিত করা হয়েছে। তার স্ত্রী জোবাইদা রাজনীতি করেন না। কিন্তু তাকেও ৩ বছরের সাজা দিয়েছে। একটাই কারণ, বিএনপি ও দলেন নেতাকর্মীদের যদি ৩ বছরের বেশি সাজা দেওয়া যায় তাহলে তারা নির্বাচন করতে পারবে না। এই সরকার কি কাপুরুষ! কি ভিতু! যে আজ ওই পন্থায় বিচারের মাধ্যমে সাজা দিয়ে তাদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চায়।  

সমগ্র দেশের মানুষকে এই সরকার জিম্মি করেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে দুই টার্ম নির্বাচন আমরা দেখেছি। ওই নির্বাচনে কেউ ভোট দিতে পারেননি। বিএনপির দুই/তিনজন ছাড়া কেউ নির্বাচিত হতে পারে নাই। কারণ, এই সরকার কাউকে ভোট দিতে দেয়নি। দখল করে নিয়েছে তারা সবকিছু। আজ তারা এইভাবে জোর করে নির্বাচনকে দখল করে সারা বিশ্বকে দেখাতে চায় যে আমরা নির্বাচিত সরকার।  

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব খারাপ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এতই খারাপ যে আগামী ছয় মাস পর তারা আর কিছু কিনতে পারবে না। তারা এখন ডলার কিনতে পারে না। ডলার পাওয়া যাচ্ছে না। কোনো কিছু আমদানি করতে পারছে না। তারা এতটাই চুরি করেছে যে এখন এই অবস্থায় পড়েছে।

সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, টাকা ছাপানো বন্ধ করুন। এই টাকা ছাপিয়ে তারা চুরিচামারি করেছে।  

তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল দেশে এসেছিল। তারা এসেছিল বাংলাদেশে নির্বাচনের পরিবেশ কেমন? তারা দেখেছে। সরকরের সঙ্গে কথা বলেছেন। যদি পরিবেশ থাকে তবে আরও একটি টিম পাঠাবে। কিন্তু ফিরে গিয়ে তারা প্রতিবেদন দিয়েছে, বাংলাদেশে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। সেখানে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আওয়ামী লীগের পালিত জাতীয় পার্টিও বলেছে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নেই। হাসিনা যদি ক্ষমতায় থাকে তাহলে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।  

বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩
এসজেএ/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।