ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

দেশ আ. লীগের নির্যাতনের রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে: মির্জা ফখরুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩
দেশ আ. লীগের নির্যাতনের রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে: মির্জা ফখরুল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ঢাকা: নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার মিথ্যা মামলা দিচ্ছে ফলে এ দেশ আওয়ামী লীগের নির্যাতনের রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার এমন একটি ভয়াবহ রাষ্ট্র তৈরি করেছে।

এটিকে রাষ্ট্র বলা যাবে না এটি আওয়ামী লীগের নির্যাতনের রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, শ্রমিক শ্রেণি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে আবারও তারা লড়াই করবে।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল হাইস্কুলের সামনে আয়োজিত জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দ্রব্যমূল্য, মজুরি কমিশন, জাতীয় বেতন স্কেল, ন্যূনতম মজুরি, শ্রম পরিস্থিতি ও চলমান ১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী কনভেনশন আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল ও সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদ।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন,  আজকে জিনিসপত্রের দাম আমার কৃষক ভাই, শ্রমিক ভাই, মেহনতি মানুষের সাধ্যের বাইরে। এরা (সরকার) ব্যর্থ হচ্ছে এটি নিয়ন্ত্রণ করতে। কারণ এরা এ চুরির সঙ্গে জড়িত। এরা লুটেরা সরকার। লুট করে নিয়ে যাচ্ছে, বিদেশে বাড়িঘর বানাচ্ছে। একদিকে আওয়ামী লীগের লোকেরা চুরি করে দুর্নীতি করে সম্পদের পাহাড় করছে অন্যদিকে আমাদের মানুষ দরিদ্র থেকে আরও দরিদ্র হচ্ছে।

ফখরুল বলেন, আজকের সমগ্র দেশের মানুষ জেগে উঠেছে একটি মাত্র দাবি নিয়ে। সেই দাবি হচ্ছে এ মুহূর্তে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, এ মুহূর্তে সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠান করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সমগ্র দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ সমগ্র রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। এক দফা দাবি দিয়েছি। সে দফা হচ্ছে হাসিনার সরকার আমাদের সমস্ত অধিকার আমাদের সমস্ত অর্জন কেড়ে নিয়েছে। সেই সরকারকে এদেশের মানুষ আর এক মুহূর্ত দেখতে চায় না।

খালেদা জিয়ার বিষয়ে ভয়েস অব আমেরিকার সঙ্গে শেখ হাসিনা মিথ্যাচার করেছেন অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এগুলো তিনি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার করেছেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির  মামলা নেই। সেই টাকা এখন ৮ কোটির ওপরে চলে গেছে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে বেগম জিয়া যাতে রাজনীতিতে না থাকতে পারে এজন্যই মিথ্যে মামলা দিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে। আমাদের নেতা তারেক রহমানকেও একইভাবে মিথ্যে মামলা দিয়ে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা যে লড়াই করছি ইনশাআল্লাহ সেই লড়াইয়ে বিজয়ী হবো। এ সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করবো। দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে সক্ষম হব।

শ্রমিক কর্মচারী কনভেনশন আয়োজক কমিটির সমন্বয়ক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফ হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও রাষ্ট্র সংষ্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩
ইএসএস/জেএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।