রাজশাহী: আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, নির্বাচন আসলে বিএনপিসহ একটি গোষ্ঠী বলে ‘নির্বাচনে অংশ নেব না, নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। ’ তাদেরকে কি জিতিয়ে প্রমাণ দিতে হবে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে? এটি কী মামার বাড়ির আবদার? তাদের এ আবদার কখনো পূরণ হবে না।
শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের এক সভয় তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর কার্যালয়ের সামনে শহীদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন।
এরপর তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালসহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দদের সাথে শহীদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। পরে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল হয়। আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি।
এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টের খুনীদের রায় হয়েছে। অনেকে বিদেশে পলাতক থাকায় তাদের রায় কার্যকর হয়নি। এ রায় কার্যকর করতে তাদের দেশে আনা দরকার। যেসব দেশে তারা আশ্রয় নিয়েছে, সেসব দেশের সরকারের সঙ্গে আমাদের দেশের সরকারের বারংবার কথা হচ্ছে। অতি উন্নত রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা বা রকম যারা, তারা নানা রকম আইনের অজুহাত দিয়ে খুনিদের ফেরত পাঠাচ্ছে না। ফলে রায় কার্যকর বিলম্বিত হচ্ছে। তবে আমি বিশ্বাস করি খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে জনমত যেভাবে তৈরি হয়েছে, আরও হচ্ছে, তাতে তারা খুনিদের ফেরত পাঠাতে বাধ্য হবে, যাতে আমরা তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে পারি।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন আসলে ষড়যন্ত্রকারীরা, ১৯৭১ এর খুনিরী, ‘৭৫ এর ঘাতকেরা, ২০০১ থেকে ২০০৬ এর যারা তারা সবাই এক হয়ে যায়। আমরা তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম, এখনো আছি, আগামীতেও থাকবো।
রাসিক মেয়র বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করছেন তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহ্সানুল হক পিন্টুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, সৈয়দ শাহাদত হোসেন, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, ডা. তবিবুর রহমান শেখ। মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শ্যাম দত্ত, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ওমর শরীফ রাজিব, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২৩
এসএস/জেএইচ