খুলনা: কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে খুলনা মহানগরে জামায়াতে ইসলামী মিছিল ও পিকেটিং করেছে।
অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ, কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন, বিএনপির মহাসমাবেশে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের হামলা, দলের নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এ হরতাল পালন করছে দলটি।
রোববার সকাল থেকে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতারা নগরের বিভিন্ন স্থানে খণ্ড খণ্ড মিছিল ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে পিকেটিং কর্মসূচি পালন করেন।
মহানগর জামাতের প্রচার বিভাগের এবিন মনির স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মহানগরে জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির অধ্যাপক নজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অন্যান্যদের মধ্যে খুলনা মহানগরে ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি আমিরুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর খুলনা সদর থানা আমির, হরিণটানা থানা আমির আব্দুল গফুর, ছাত্রশিবির খুলনা মহানগরের দপ্তর সম্পাদক সাহাল বিন মতিন, সাহিত্য সম্পাদক মুহা. আবু রাহাত প্রমুখ নেতারা।
এ সময় তারা বলেন, ঢাকার শাপলা চত্বরে জামায়াতে ইসলামীর ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ বানচাল করার হীন উদ্দেশ্যে সরকার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে। মিটিং-মিছিল করা যেকোনো রাজনৈতিক দলের সংবিধানস্বীকৃত গণতান্ত্রিক অধিকার। জামায়াতের মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের বাস, লঞ্চ ও ট্রেন থেকে নামিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই গ্রেপ্তার সম্পূর্ণ বেআইনি, অগণতান্ত্রিক, অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত। নেতারা সরকারের এই অন্যায় গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
সেই সঙ্গে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ, কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন, বিএনপির মহাসমাবেশে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের হামলা, নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এবং জামায়াত ঘোষিত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে পুলিশের বাধাদান ও মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে পালনে খুলনাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২৩
এমআরএম/এএটি