ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ মে ২০২৪, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

হরতাল অবরোধ নাকি অসহযোগ, কী কর্মসূচি আসছে

তানভীর আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২৩
হরতাল অবরোধ নাকি অসহযোগ, কী কর্মসূচি আসছে

ঢাকা: সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের ‘এক দফা’ দাবিতে আন্দোলন করে আসছে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীরা। দাবি আদায়ে ইতোমধ্যে কয়েক দফা হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে তারা।

তবে সেই দাবির তোয়াক্কা করেনি সরকার। এরই মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

দাবি আদায়ে আন্দোলন চলাকালে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিএনপিসহ সরকারবিরোধী দলগুলো কী কর্মসূচি দেবে তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। আন্দোলনের পঞ্চম ধাপের অবরোধ কর্মসূচি শেষ হচ্ছে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৬টায়। অবরোধ শেষে নতুন কী কর্মসূচি আসছে তা নিয়ে জনসাধারণ থেকে রাজনৈতিক মহলে চলছে চুল-চেরা বিশ্লেষণ।

বিএনপি বলে আসছিল, চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে তফসিল ঘোষণা হলে আরও জোরদার করা হবে কর্মসূচি। সেক্ষেত্রে হরতাল, নির্বাচন কমিশন ঘেরাও, টানা অবরোধ অথবা ‘অসহযোগ’ আন্দোলনেরও ডাক দেওয়া হতে পারে। তবে এখন দলটির নেতারা বলছেন, আপাতত দুই দিনের হরতাল কর্মসূচি আসতে পারে।

বিএনপির শীর্ষ নেতারা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এক দফার কর্মসূচি হিসেবে সারা দেশে হরতাল বা অবরোধ ছাড়া পর্যায়ক্রমে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসতে পারে। সার্বিক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে দলের হাইকমান্ড।

বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের তফসিল ঘোষণার পর ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি ‘তফসিলকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান’র কথা জানিয়ে বলেন, সামনে আন্দোলন আরও কঠিন হবে। ঘোষিত তফসিলের কারণে দেশে যদি অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয় সে কারণে যে অবস্থা হবে তার দায় নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে।

এছাড়া, তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করে জামায়াতে ইসলামী। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) অর্ধদিবস হরতাল ডাকে বাম গণতান্ত্রিক জোট।

তফসিল ঘোষণা পরবর্তী বিএনপির ভাবনার বিষয়ে জানতে চাইলে দলের খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ ইসলাম অমিত বাংলানিউজকে বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে করার দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনের আরও কঠোর কর্মসূচি আসবে।

সরকারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম জোট ১২ দলের সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, নির্বাচন কমিশন কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রাতে তফসিল ঘোষণা করেছে। এতেই বোঝা যায় ভীত হয়ে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।
 
যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু বাংলানিউজকে বলেন, সরকার জনগণের দাবিকে উপেক্ষা করে অনৈতিকভাবে তফসিল ঘোষণা করেছে। চলমান আন্দোলন আরও বেগবান হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২৩
টিএ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।