ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

নির্বাচনী সহিংসতায় আহত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার মৃত্যু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২৩
নির্বাচনী সহিংসতায় আহত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার মৃত্যু মো. লালন ফকির

পিরোজপুর: পিরোজপুরে নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় আহত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মো. লালন ফকির (২৭) মারা গেছেন।  
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজহাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

 

তিনি পিরোজপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শারিকতলা ডুমুরিতলা এলাকার মো. হান্নান ফকিরের ছেলে এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক।  

তার মৃত্যুতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়ালের পক্ষ থেকে পিরোজপুর পৌর শহরে রাতে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।

স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি (সাবেক) শফিউল বারী বাবু ও সম্পাদক আব্দুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল স্বাক্ষরিত একটি কমিটির তথ্য সূত্রে জানা গেছে, লালন ফকির জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক।
এ বিষয়ে জানতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মনিরুজ্জামান মনির মোবাইল ফোনে কল দিলে তারা তা রিসিভ করেননি।

এলাকাবাসীর দেওয়া তথ্য ও স্বজনদের দাবি, গত শনিবার (০৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পিরোজপুর সদর উপজেলার রানীপুর গ্রামের বটতলা এলাকায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য প্রার্থী মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের একটি নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করেন একই আসনের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়ালের কর্মীরা। এ ঘটনার জেরে আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী শ ম রেজাউলের কর্মীরা আউয়ালের কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা লালন ফকিরকে কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জেলা হাসপাতালে ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। পরে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত সাড়ে ৭টায় তার মৃত্যু হয়।

তার মৃত্যুতে শহরে মিছিল করেছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়ালের সমর্থকরা। এ ঘটনায় রাতেই তারা মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) শহরে হরতাল ঘোষণা করেন।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, লালন ফকির গত ২০১৪ সালের বিএনপির হরতাল কর্মসূচি চলাকালে একাধিক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলার আসামি ছিলেন। এ ছাড়াও তার নামে কয়েকটি মামলা রয়েছে।

এ ব্যাপারে পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় থানায় এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। এলে মামলা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।