ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

গাইবান্ধা-২: জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী লাঙ্গলের প্রার্থী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০২৪
গাইবান্ধা-২: জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী লাঙ্গলের প্রার্থী

গাইবান্ধা: নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই গাইবান্ধায় জেঁকে বসেছে শীত। দিনভর দেখা নেই সূর্যের।

অন্যদিকে দ্রুত ফুরিয়ে আসছে প্রচার-প্রচারণার সময়। তাই তো শেষ সময়ে তীব্র শীত উপেক্ষা করে ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত
ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট চাচ্ছেন গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী আব্দুর রশীদ সরকার।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সকালে পৌর শহরের গোড়স্থান মোড়ে গণসংযোগ করতে দেখা যায় এ প্রার্থীকে।

তীব্র শীতে গায়ে চাদর, মাথায় মাফলার পেঁচিয়ে দলবল নিয়ে ভোটের মাঠে ঘুরছেন তিনি। পাড়ার মোড়ে দাঁড়িয়ে হ্যান্ড মাইকে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। হেঁটে হেঁটে বিলি করছেন লিফলেট, হাত মেলানোর পাশাপাশি ভোটারদের টেনে নিচ্ছেন বুকে।  

এ আসনে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে দুই দফায় সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হয়েছিলেন আব্দুর রশীদ সরকার। এছাড়া ২০০৯ সালে গাইবান্ধা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। ফলে প্রচারণায় সাধারণ ভোটারদের ব্যাপক সাড়া লক্ষ্য করা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গাইবান্ধা জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসনের মধ্যে দুটি আসনে লড়ছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ গাইবান্ধা-২ আসনটি জাতীয় পার্টিকে (জাপা) ছেড়ে দেওয়ায় বড় কোনো রাজনৈতিক দ্বিধা-বিভক্তি নেই এখানে। ফলে আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশের সমর্থন ও ব্যক্তিগত ইমেজের কারণে শক্ত অবস্থানে রয়েছে লাঙ্গল।

এ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছিলেন টানা তিনবারের সাংসদ ও জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি। আওয়ামী লীগ-জাপা সমঝোতায় দলের নির্দেশে তিনি তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তে মাহবুব আরা বেগম গিনি দলবল নিয়ে কাজ করছেন লাঙ্গলের প্রার্থী আব্দুর রশীদ সরকারের পক্ষে। ফলে মিছিল-মিটিং থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে জাপা।

এদিকে এ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী না থাকলেও ভোটযুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ সারোয়ার কবীর (প্রতীক: ট্রাক)। বাংলাদেশের গণপরিষদের প্রথম স্পিকার শাহ আব্দুল হামিদের নাতি শাহ সারোয়ার কবীর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদ্য পদত্যাগ করা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। তিনিও নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন চেয়েছিলেন। মূলত এ দুই প্রার্থীর মধ্যে ভোটযুদ্ধ হবে বলে মনে করেন নির্বাচন বিশ্লেষক-সংশ্লিষ্টরা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে ভোটযুদ্ধে অংশ নেওয়া অপর তিন প্রার্থী হলেন- শাহ সারোয়ার কবীরের স্ত্রী ও আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্র প্রার্থী মোছা. মাছুমা আক্তার (প্রতীক: ঈগল পাখি), এনপিপির জিয়া জামান খান (প্রতীক: আম) ও জাসদের মো. গোলাম মারুফ মনা (প্রতীক: মশাল)।

লাঙ্গলের প্রার্থী আবদুর রশিদ বলেন, এক সময় আসনটি জাতীয় পার্টির দখলে ছিল। আমি এমপি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকাকালে এলাকার অনেক উন্নয়ন করেছি। এ আসনের বর্তমান এমপি মাহাবুব আরা বেগম গিনি জেলা আওয়ামী লীগের সিংহভাগ নেতাকর্মী নিয়ে আমার পক্ষে কাজ করছেন। সব মিলিয়ে আমি আগামী ৭ তারিখের নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০২৪
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।