ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

সরকার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখাতে মরিয়া: গণতন্ত্র মঞ্চ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০২৪
সরকার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখাতে মরিয়া: গণতন্ত্র মঞ্চ

ঢাকা: সরকার ভোটারদের জোর করে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখাতে চায় বলে মন্তব্য করে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখানোর জন্য নিজেদের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী নামিয়েছে। এই স্বতন্ত্ররা নিজেদের আধিপত্য নিশ্চিত করার জন্য নিজেরা খুনোখুনি করেছে এবং এর দায় বিরোধীদের ওপর চাপানোর ষড়যন্ত্র চলছে।

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে এগারোটায় ফার্মগেটে ‘একতরফা ভোট বয়কট করুন’ এই আহ্বানে আয়োজিত সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা এসব কথা বলেন। সমাবেশের পরে মিছিল নিয়ে গ্রিন রোড, সাইন্সল্যাব হয়ে নীলক্ষেত মোড়ে গণসংযোগ করেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মীরা।

গণসংযোগপূর্ব সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমম্বয়ক ইমরান ইমন। সভা পরিচালনা করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ভোটকেন্দ্রে লোক আনার জন্য সরকার এতটাই মরিয়া যে, তারা হাইকোর্টে রিট করেছে ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য।  যারা সরকারি সুবিধা ভোগ করেন তাদের ভোট দিতে বাধ্য করার জন্য আদালতে এ রিট আবেদন করা হয়েছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখানোর জন্য নিজেদের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী নামিয়েছে। এই স্বতন্ত্ররা নিজেদের আধিপত্য নিশ্চিত করার জন্য নিজেরা খুনোখুনি করেছে এবং এর দায় বিরোধীদের ওপর চাপানোর ষড়যন্ত্র চলছে।

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা আরও বলেন, জাতীয় পার্টিকে রাজনৈতিকভাবে ভিক্ষুকে পরিণত করে তাদের সহযোগী দলে ঢুকিয়ে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের দাসে পরিণত হওয়া জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা টাকা-পয়সার ভাগবাটোয়ারা না পেয়ে গণহারে সরে যাচ্ছে সাজানো নির্বাচন থেকে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবীদ ড. ইউনূসকে আইনি ব্যবস্থার দোহাই দিয়ে তড়িঘড়ি করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে তাকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য। সরকার আইনি ব্যবস্থাকে বোবা-কালা-অন্ধ বানিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের তড়িঘড়ি করে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে শাস্তি ঘোষণা করছে। এই ফাঁদে এক সময় আওয়ামী লীগকেও পড়তে হবে বলে স্মরণ করিয়ে দেন নেতৃবৃন্দ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২৩
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।