ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সরকার জিয়ার প্রশংসার বদলে সমালোচনা করে: নজরুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২৪
সরকার জিয়ার প্রশংসার বদলে সমালোচনা করে: নজরুল

ঢাকা: সরকার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রশংসা করার বদলে সমালোচনা করে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, যারা আজকে উন্নয়নের কথা বলে তাদের জিয়াউর রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা থাকা দরকার; শ্রদ্ধা জানানো উচিত।

পরিবর্তে তারা তাকে নিয়ে সমালোচনা করে। তার বিরুদ্ধে কথা বলে অকৃতজ্ঞের মতো। আমি আপনাদের অনুরোধ করব এই মানুষটার সম্পর্কে একটু ভাবেন।

সোমবার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের (বীরউত্তম) ৮৮তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে শহীদ জিয়া ও বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। আলোচনা সভাটির আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ব্যক্তি জিয়াউর রহমান অত্যন্ত সাধারণ মানুষ ও অনেক গুণের অধিকারী ছিলেন। আমরা জিয়াউর রহমানের সঙ্গে এক হয়ে রাজনীতি করেছি। উনার সঙ্গে রাজনীতি করা লোকদের মধ্যে বর্তমানে খন্দকার মোশাররফ করিম এবং আমি আছি। শহীদ জিয়া রাষ্ট্র ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে কোনো দিন কোনো বিষয় কারও সঙ্গে আলাপ করা ছাড়া সিদ্ধান্ত নেননি। উনি সব সময় বিনয়ের সঙ্গে বলতেন, “আমি অনেক কিছুই জানি না। ” তাই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যারা জানেন তাদের সঙ্গে আলাপ করা ছাড়া রাষ্ট্রের কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেন না। দেশকে ভালবাসা ও একধরনের দৃষ্টান্ত তৈরি করার ব্যক্তি ছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান।

বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত মর্যাদার সঙ্গে টিকে আছে এমন মন্তব্য করে নজরুল বলেন, শহীদ জিয়ার মৃত্যুর পর থেকে বিএনপির শুধু মর্যাদাই নয়, প্রতিনিয়ত দলের সমর্থন বাড়ছে। জিয়াউর রহমান তার দলের নেতাকর্মীদের বলতেন, “দেশের মাটিকে ভালো করে জানতে হবে তা না হলে সঠিক নেতৃত্ব দেওয়া যাবে না। ” ফলে আজ পর্যন্ত বিএনপি মর্যাদার সঙ্গে টিকে আছে।

দেশে অর্থনীতি যে তিনটি স্তম্ভের ওপর আছে তার শুরু জিয়াউর রহমানের হাতে। কৃষি, তৈরি পোশাক শিল্প ও প্রবাসী আয়- এ তিনটি গড়ে উঠেছে তার শাসনামলে। ৭৫ সালের পর থেকে দেশে বড় ধরনের দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল, তখন মানুষ ডাস্টবিনের খাবার খেয়েছে। সেই অবস্থা থেকে দেশকে তুলে আনার জন্য জিয়াউর রহমান দেশের প্রতিটা প্রান্তরে গিয়েছেন। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তুলেছিলেন।

আলোচনা সভায় ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদ বলেন, বাংলাদেশের কারাগারগুলোয় বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী বন্দি। আমরা যারা জেলের বাইরে আছি তারাও বন্দি অবস্থায় আছি। কারণ, দেশের মানুষে কথা বলার স্বাধীনতা নেই। আজকে এই দুঃসময়ে যখন দেশের মানুষের ভোটের অধিকার নেই, তখন বিএনপির ডাকে সাড়া দিয়ে মানুষ ভোট বর্জন করেছে। এখন আমাদের আন্দোলন থেমে থাকলে চলবে না। আমরা পেশাজীবীদের এক হয়ে আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে হবে।

আলোচনা সভাটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ড্যাব মহাসচিব ডা. মো আব্দুস সালাম। বক্তব্য দেন ড্যাব ময়মনসিংহ বিভাগের সদস্য সচিব মেহেরুন কাদির, ড্যাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা পারভেজ রেজা, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মুস্তাক রহিম স্বপন, ড্যাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মো শহিদুর রহমান, ড্যাবের সহ- সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো শিরাজুল ইসলাম, সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. শহিদুল আলম, ড্যাবের কোষাধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম শাকিল, বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২৪
ইএসএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।