ঢাকা: সরকার বিরোধী আন্দোলন যাতে জোরালো এবং কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আওয়ামী লীগ। সন্ত্রাস নাশকতার মতো যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজনীতির মাঠ দখলে রাখতে দলটির নেতাকর্মীরা আগের মতোই রাজপথের অবস্থান অব্যাহত রাখবে।
এরই অংশ হিসেবে শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীতে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের কর্মসূচি নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এদিন রাজধানীতে বিএনপি কালেঅ পতাকা মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে। এ কর্মসূচিতে দলটি বড় ধরনের জনসমাগম ঘটনার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। গত বছর ২৮ অক্টোবরের পর এটাই বিএনপির প্রথম জমায়েত কর্মসূচি। এর আগে ২৮ অক্টোবরের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে সন্ত্রাস, নাশকতা তৈরি হয় এবং হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটে। এ বিষয়টিকে মাথায় রেখে সতর্ক অবস্থান নিতে শনিবার আওয়ামী লীগ ও কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকছে।
আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকাতে না পারলেও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে সরকারকে সমস্যায় ফেলতে বিভিন্ন অপতৎপরতা ও অপকৌশলের আশ্রয় নিতে পারে বিএনপি ৷ রাজপথে কর্মসূচি দিয়ে দলটি আবারও সন্ত্রাস, নাশকতার মতো কর্মকাণ্ড চালানোর চেষ্টা করতে পারে। ফাঁকা মাঠ পেলে বা কোনো ধরনের সুযোগ পেলে বিএনপি নেতাকর্মীরা আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারে এমন আশঙ্কাও রয়েছে।
তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং যেকোন অপতৎপরতা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টা প্রতিহত করতে সরকার প্রস্তুত আছে। যে কোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেবে। তবে সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও আগের মতো রাজপথে সতর্ক অবস্থানে থাকবে।
আওয়ামী লীগের ওই নেতারা আরও জানান, গত নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাঠে অবস্থান না নিলে যে পরিকল্পনা নিয়ে বিএনপি অগ্রসর হচ্ছিল তাতে দেশের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেত। নির্বাচন বানচাল করতে অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা করে মাঠে নেমেছিল বিএনপি। এ কারণে আওয়ামী লীগও রাজপথে থাকার ঘোষণা দেয়। আন্দোলনের নামে কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিএনপি যাতে কোনো ধরনের নাশকতা, সহিংসতা ও পরিস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে সেজন্য গত এক বছর ধরে আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকে। বিএনপির কর্মসূচির দিন আওয়ামী লীগও শান্তি সমাবেশ করতে থাকে। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা মাঠে থাকায় বিএনপির ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে এবং যথাসময়ে নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে বলে তারা মনে করেন। আগামীতেও যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় কর্মসূচি দিয়ে কর্মীদের মাঠে রাখা হবে বলে আওয়ামী লীগের ওই নেতারা জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, তারা আবার কর্মীদের চাঙা করে মাঠে নামতে চাইছে এ কারণেই কর্মসূচি দিয়েছে। তবে বিএনপির সঙ্গে কোন জনগণ নেই, অতীতেও ছিল না সেটা প্রমাণ হয়েছে, আগামীতেও তাদের সঙ্গে জনগণ আসবে না। তবে তাদের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ ও সরকার সবসময় সতর্ক থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৪
এসকে/জেএইচ