ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

জনগণের কষ্টে সরকারের কিছু আসে যায় না: সালাম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
জনগণের কষ্টে সরকারের কিছু আসে যায় না: সালাম

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেছেন, দেশে এত সমস্যা, অথচ সরকার বলে কোনো সমস্যা নেই। তারা তো জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, তাই জনগণের কষ্ট তাদের কিছু আসে যায় না।

দেশের পেছনে তাদের কোনো অবদান নেই। অবদান রয়েছে রাষ্ট্রের সম্পদ লুটপাটে। স্বাধীনতার পর অনেকে রাজাকারদের ফেলে যাওয়া অস্ত্র নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সেজেছেন।

তিনি বলেন, আজকে কারা ব্যাংক লুট করেছে? জনগণের হাজার কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। কোথায় গেলো সে টাকা। তাদের কোনো বিচার নেই। সরকার তাদের ধরবে না। ধরবে গণতন্ত্রকামী জনতাকে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে বিজয়নগরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের শাহবাগ থানা ২০ ওয়ার্ড বিএনপি আয়োজিত তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জনসাধারণের মাঝে বোতলজাত পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

সালাম বলেন, আজকে মার্কেট জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পথে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের। দোকান ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বললেও দেওয়া হচ্ছে না। চাঁদাবাজদের কারণে অতিষ্ঠ সর্বস্তরের ব্যবসায়ীরা। ক্ষমতাসীনদের চাঁদা না দিলে ভেঙে ফেলা হয় দোকানপাট। নেই কোনো প্রতিকার। পুলিশ নির্বিকার। সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের ফ্রি লাইসেন্স দিয়েছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বাবা বলেছেন, জাতি দুভাগে বিভক্ত। শোষক আর শোষিত। আমি শোষিতদের পক্ষে। অথচ, তার কন্যা কথার উল্টো অবস্থান নিয়েছেন। যারা জাতিকে শোষণ করছেন, দুর্নীতি করছেন, রাষ্ট্রের টাকা লুট করেছেন প্রধানমন্ত্রী আজ তাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। শ্রমিকরা আজ ন্যায্য বেতন পাচ্ছে না। বেতনের দাবিতে রাজপথে নামলে গুলি করে গার্মেন্টস শ্রমিক হত্যা করা হয়, কোনো তদন্ত কমিটি হয় না।

তিনি আরও বলেন, সরকার বলে তারা নাকি গুম-খুন করে না। তাহলে কোথায় গেলো চৌধুরী আলম? কোথায় গেলো ইলিয়াস আলী? এভাবে গুম-খুন করে বিএনপিকে শেষ করা যাবে না। মধ্যবিত্ত ব্যবসায়ীদের পুঁজি নেই। না খেতে পেরে গৃহহীন মানুষগুলো ঢাকামুখী হচ্ছে। আর মন্ত্রীরা বলেন, দেশের মানুষ আরামে আছে। আসলে ভালো আছে লুটপাটকারীরা, আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজরা। এমপি-মন্ত্রীর আত্মীয়স্বজনরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য এমএ হান্নান, জাকির হোসেন মন্টু, প্রচার দলের সভাপতি মাহফুজ কবির মুক্তা, শাহবাগ থানা নেতা রফিকুল ইসলাম স্বপন, জাহিদ হোসেন নোয়াব, মুর্শেদ আলম, রাইসুল ইসলাম চন্দন, গোলাম সারোয়ার অপু, বিপ্লবী হক বিপ্লব প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
টিএ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।