মাদারীপুর: মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে চেয়ারম্যান প্রার্থী চাচার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ভাতিজা আসিবুর রহমান খান।
রোববার (৫ মে) দুপুরে মাদারীপুরে নিজ বাসভবনে এই সংবাদ সম্মেলন করেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী আসিবুর রহমান আসিব খান।
এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক খান আগামী ৮মে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে প্রভাব খাটাতে সরকারি কর্মকর্তাদের কাজে লাগাচ্ছেন। এজন্য ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে ভোট কিনতে টাকা বিলাচ্ছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে বেশকিছু সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী শফিক খানের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিচ্ছে। যা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের শামিল।
এছাড়া পরাজয় জেনেই নির্বাচনের দিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সন্ত্রাস সৃষ্টির পায়তারাও করছে বলে অভিযোগ করেন ভাতিজা আসিবুর রহমান খান।
এদিকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পাভেলুর রহমান শফিক খান বলেন, এই নির্বাচনকে ঘিরে শাজাহান খান তার ছেলে পক্ষে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। এরমধ্যে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো, প্রশাসনের ওপর চাপ প্রয়োগ, কালো টাকা ছড়ানোর কারণে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এমনকি নির্বাচন কমিশনের আইনে স্থানীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনী এলাকায় প্রচার-প্রচারণা অংশ নিতে পারবে না। কিন্তু সেই আইনকেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন সংসদ সদস্য। এমন ১৫টি অভিযোগ তুলে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় আগামী ৮মে হতে যাওয়া নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ায় নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আহম্মেদ আলী জানান, আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ব্যবস্থা নেবেন। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনও কাজ করে যাচ্ছে।
জানা যায়, সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মাদারীপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খানের বড় ছেলে আসিবুর রহমান আসিব খান এবং শাজাহান খানের চাচাতো ভাই ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পাভেলুর রহমান শফিক খান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুইজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
১৫ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত ২৮৩ দশমিক ১৪ কিলোমিটার আয়তনের সদর উপজেলায় মোট ভোটার তিন লাখ ২২ হাজার ৪২৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৬৬ হাজার, নারী ভোটারের সংখ্যা এক লাখ ৫৬ হাজার ৪২১ জন। আর পাঁচজন রয়েছে অন্যান্য ভোটার।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, মে ৫, ২০২৪
এসএম