ঢাকা, শনিবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ জুন ২০২৪, ১৪ জিলহজ ১৪৪৫

রাজনীতি

দুর্নীতি-দুঃশাসনের বরপুত্র তারেক, মুখপাত্র ফখরুল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩০ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২৪
দুর্নীতি-দুঃশাসনের বরপুত্র তারেক, মুখপাত্র ফখরুল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী বক্তব্য রাখছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির দুর্নীতি-দুঃশাসনের বরপুত্র হচ্ছে তারেক রহমান। আর তাদের মুখপাত্র হচ্ছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

 চোরের মায়ের বড় গলা কথাটি তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।  

মঙ্গলবার (৪ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।  

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশে আদালত স্বাধীনভাবে কাজ করে এবং আমাদের দেশের দুর্নীতি দমন কমিশনও স্বাধীনভাবে কাজ করে। কাগজে দেখলাম মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব কারও কারও রেফারেন্স দিয়ে বলেছেন, এরাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের শাসনের মুখ। বিএনপির দুঃশাসন একটু মনে করিয়ে দিতে চাই। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের কাছেও একটু তুলে ধরতে চাই, আপনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, বাংলাদেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। চারবার এককভাবে চ্যাম্পিয়ন, আর একবার হয়েছে যুগ্মভাবে।  

‘আর আপনাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের (তারেক) বিরুদ্ধে এফবিআই এসে সাক্ষ্য দিয়ে গিয়েছে। তার (তারেক) এবং তার ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর দুর্নীতির টাকা বিদেশ থেকে ফেরত আনা হয়েছে। ২১ আগস্ট হামলার কারণে এবং দুর্নীতির কারণে তার (তারেক) সাজা হয়েছে। খালেদা জিয়ারও শাস্তি হয়েছে দুর্নীতির কারণে। আপনাদের দুর্নীতি-সন্ত্রাসের মুখ হচ্ছে তারেক রহমান। বিএনপির দুর্নীতি-দুঃশাসনের বরপুত্র তারেক রহমান। আর তাদের মুখপাত্র হচ্ছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চোরের মায়ের বড় গলা কথাটি তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ’

তিনি আরও বলেন, আমরা অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে দেশ পরিচালনা করছি। কেউ দুর্নীতি, অন্যায়, অনিয়ম করলে বিচার হয় আমাদের দেশে। আর আপনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন আপনারা হাওয়া ভবন প্রতিষ্ঠা করে দুর্নীতি এবং দুঃশাসনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিলেন।  

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে আমার বৈঠক হয়। তিনি তখন আমাকে বললেন, তোমরা তো তোমাদের অঞ্চলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে এগিয়ে। কিন্তু আজকে যখন দেশ এগিয়ে যায় তখন বিএনপি-জামায়াত এবং কিছু কিছু নামধারী বিশেষজ্ঞ-বুদ্ধিজীবী পরিচয়ধারী, তারা কোনো কিছু দেখতে পায় না। তারা শুধু সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে চলেছে। কোনো উন্নয়ন হলেই তারা সেখানে কিন্তু খোঁজে। কিছু নামধারী বুদ্ধিজীবী সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়।  

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে আমি আপনাদের মাধ্যমে বলবো, চোরের মায়ের এখন বড় গলা। দুর্নীতি দুঃশাসনের বরপুত্র তারেক রহমানের মহাসচিবেরও আজ বড় গলা। সুতরাং সবাইকে আজকে একটু সাবধান হতে হবে। নির্বাচনে হেরে গিয়ে এখন তারা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। লাভ হবে না, সব ষড়যন্ত্র আমরা আল্লাহর রহমতে মোকাবিলা করেছি। ভবিষ্যতেও সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশ এগিয়ে যাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।

স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজুর সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েলের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য বলরাম পোদ্দার, ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি জিন্নাহ আলী খান জিন্নাহ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২৪
এনবি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।